মুখ ধোয়ার পরেও ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন? এর পেছনে কেবল ধোয়ার অভ্যাস নয়, বরং দৈনন্দিন কয়েকটি ছোট ছোট অভ্যাসও দায়ী। আমাদের ত্বক শুধু একা কাজ করে না; আমরা যা খায়, যা স্পর্শ করি এবং কীভাবে সেবন করি – সবকিছুই ত্বকের সুস্থতায় প্রভাব ফেলে। সঠিক অভ্যাসে ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আসুন, দেখি কোন ৫টি দৈনন্দিন অভ্যাস ত্বকের সমস্যা বাড়াচ্ছে এবং কেন তা আপনাকে সতর্ক থাকতে সাহায্য করবে।
মুখে বারবার হাত দেয়াঃ অনেকেই অবচেতনভাবেই দিনে বহুবার মুখে হাত রাখেন। আমাদের হাত ব্যবহারের সময় নানা ধরণের ধুলা, ঘাম, জীবাণু জমে থাকে। এই জীবাণু যখন মুখে পৌঁছে যায়, তখন তা ত্বকের ছিদ্রগুলি অবরুদ্ধ করে এবং ব্রণের সৃষ্টি করে। তাই, যতটা সম্ভব মুখে হাত না রাখার চেষ্টা করুন ।
অত্যধিক বা ভুলভাবে মুখ ধোয়াঃ প্রতিদিন বারবার মুখ ধোয়া এবং অত্যধিক ক্লিনজার ব্যবহার করা ত্বকের প্রাকৃতিক অয়েলকে মুছে দেয়। যখন ত্বক শুকিয়ে যায়, তখন তা বর্ধিত তেল উৎপাদনের কারণ হতে পারে, যা আবার ব্রণের ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক পরিমাণে এবং মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, যাতে ত্বকের ব্যালেন্স থাকে এবং অতিরিক্ত শুষ্কতা না আসে।
মেকআপ ও স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ঠিকভাবে না ওঠানো ঃ দিনের শেষে মেকআপ ও অন্যান্য স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে ত্বকে অবশিষ্ট থাকে নানা ধরনের অবশিষ্টাংশ। এই অবশিষ্টাংশ ধরে রাখে ব্লকড পোর্স, যা ব্রণের কারণ হতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে মেকআপ রিমুভাল এবং ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।
অপরিষ্কার টাওয়েল ও মোবাইল ফোন ব্যবহারঃ অনেক সময় আমরা আড়াল করে ছোট ছোট বিষয়গুলো পৃথিবীতে আনবার আগেই ভুলে যাই। যেমন – এমন এক টাওয়েল ব্যবহার করা, যা হাজারোবার ব্যবহৃত এবং সঠিকভাবে ধুয়ে রাখা হয় না; কিংবা মোবাইল ফোনের স্ক্রিন যা ঘন ঘন আপনার মুখের স্পর্শে আসে। এইসব অপরিষ্কার বস্তু থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে এবং ত্বকে সমস্যা বাড়ায়।
খারাপ খাদ্যাভ্যাস, স্ট্রেস ও অপর্যাপ্ত ঘুমঃ ত্বকের সুস্থতার জন্য অভ্যন্তরীণ যত্নও সমান গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত তেল ও চিনি বেশি সম্পন্ন খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি না পান করা ও নিদ্রাহীনতার ফলে শরীরে স্ট্রেস বাড়ে। স্ট্রেস ত্বকে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা ব্রণের ব্যাপক কারণ হিসেবে কাজ করে। সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি এবং নিয়মিত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অপরিহার্য।
প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসগুলো যেমন—মুখে হাত না দেয়া, সঠিকভাবে ও কম ধোয়া, মেকআপ পরিষ্কার করা, পরিষ্কার টাওয়েল ও মোবাইল ব্যবহার করা এবং সুস্থ খাদ্যাভ্যাস—এসব মিলিয়ে আপনার ত্বককে সত্যিকারের সুরক্ষা দিতে পারে।