মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কিরিয়াস জোয়েলে ৮০০ জনেরও বেশি হাসিডিক মহিলা যৌন ধর্মঘট (Sex Strike In US)শুরু করেছেন।ওই প্রতিবাদী মহিলাদের লক্ষ্য একটি শতাব্দী প্রাচীন ইহুদি আইন পরিবর্তন করা যাতে মহিলাদের জন্য বিবাহবিচ্ছেদ করা অত্যন্ত কঠিন করে তোলে। ধর্মঘটে সামিল নারীরা বলছেন, বর্তমান ব্যবস্থায় বিবাহবিচ্ছেদের জন্য স্বামীর লিখিত অনুমতি প্রয়োজন। যা করতে গিয়ে তাদের অসুখী করে তোলে এবং এমনকি আপত্তিজনক বিবাহের ফাঁদেও ফেলে দেয়। মহিলারা আশা করছেন যে ধর্মঘট তাদের স্বামীদের এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপর আইনি সংস্কারের পক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে৷ মহিলাদের এই প্রতিবাদ ইতিমধ্যেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন ধর্মঘট নারীরা।
কিরিয়াস জোয়েলের কঠোর ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে পুলিশের কাছে পারিবারিক হিংসার রিপোর্ট করার আগে একজন রাব্বির (ইহুদি ধর্মীয় নেতা) অনুমোদন নিতে হবে মহিলাদের। এবং একইরকমভাবে ধর্মীয়ভাবে বৈধ বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য একজন রাব্বির স্বাক্ষরিত একটি নথি প্রয়োজন। এখানে স্ত্রীর নিজের ডিভোর্স চাওয়ার অধিকার নেই। স্ত্রী আবেদন করলে স্বামী তা বন্ধ করতে পারে। একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে বিয়েতে জিম্মি করতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আটকে পড়া মহিলাদের বলা হয় "আগুনাহ" বা "শৃঙ্খলিত নারী বলা হয়।
Hundreds Of Jewish Women In US On Sex Strike To Protest Unfair Divorce Laws https://t.co/zMhFhjLsoV pic.twitter.com/mPqf97EfdZ
— NDTV (@ndtv) March 20, 2024
এই আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২৯ বছর বয়সী বাসিন্দা মাল্কি বারকোভিটস, যিনি এই প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছেন। তিনি২০২০ সাল থেকে আলাদাভাবে বসবাস করছেন, কিন্তু এখনও তার স্বামী ভলভিকে তালাক দিতে সক্ষম হননি।
প্রতিবাদী মহিলারা আশা করেন যে তাদের যৌন ধর্মঘট তাদের অবাঞ্ছিত বিবাহ ত্যাগ করার স্বাধীনতা দেবে। সেক্স স্ট্রাইকের নেতৃত্বে থাকা আদিনা শ্যাচস বলেন, "মালকি হল প্রত্যেক মহিলার মুখ, যারা বশীভূত, লাজুক, বাধ্য ভেড়ার মতো সিস্টেমের সাথে লড়াই করছে। আমাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।"