নিসর্গের গতিবিধি(Photo Credits: IMD)

মুম্বই, ৩ জুন: শক্তি বাড়িয়ে নিসর্গ ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Nisarga) মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়তে চলেছে বুধববার বেলা একটা থেকে চারটের মধ্যবর্তী সময়ে। শেষপর্যন্ত পাওয়া খবরে এমনটাই জানালো দিল্লির মৌসম ভবন। ল্যান্ডফলের সময় নিসর্গের গতিবেগ ঘণ্টায় থাকবে ১১০ কিলোমিটার, বললেন আইএমডি-র ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। মুম্বই শহর, রায়গড়, থানে, পালঘর-সহ মহারাষ্ট্রের আরও চার জেলায় এই নিসর্গের ভয়াবহ প্রভাব পড়তে চলেছে। প্রতিবেশী গুজরাটে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষমতা কিছুটা কমে যাবে। ভালসাদ জেলা ও নভসারির কিছু অংশ-সহ সুরাটে ল্যান্ডফলের পর নিসর্গ ঘুর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। ঝড়ের এই গতিবেগ গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, টেলিফোনের টাওয়ার উপড়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট।

এই প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, বেলা একটা থেকে চারটের মধ্যে নিসর্গ ঘূর্ণিঝড় হরিহরেশ্বর ও দমনের মধ্যে দিয়ে আলিবাগের গা ছুঁয়ে মহারাষ্ট্র অতিক্রম করবে। এই যাত্রাপথে মুম্বই, থানে ও রায়গড়ে নিসর্গ ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার। একইভাবে সিন্ধুদুর্গ, পালঘর ও রত্নগিরিতে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ৮০-৯০ কিলোমিটার। মধ্যরাতে গুজরাটের নভসারি ও ভালসাদে ঝড়ের গতিবেগ কমে হবে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার। আগামীকাল সকালে দুর্বল হয়ে পড়বে নিসর্গ, তখন শুরু হবে বৃষ্টি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ইতিমধ্যেই কোলিওয়াড়ার অন্তত হাজার খানেক মৎস্যজীবী পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শুরুর পরেপরেই মুম্বইতে সমুদ্রতট লাগোয়া ঢেউ এক থেকে ২ ফুট লম্বা হতে পারে। এর জেরে গোটা অঞ্চলে শুরু হবে ভারী বর্ষণ। আরও পড়ুন- COVID-19 Tally In India: ২,০৭,৬১৫ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ৮ হাজার, ৯০৯ জন

এমনিতেই মহামারী করোনায় বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে মহারাষ্ট্রেই। নিসর্গ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে। এই আশঙ্কায় মুম্বইয়ের বেশকিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের অন্যত্র সরানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এক শতাব্দীর মধ্যে মুম্বইতে সবথেকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের জায়গা নিতে চলেছে নিসর্গ। যেখানে দেশের বাণিজ্যনগরী ২০০৫, ২০১৭ এবং ২০১৯-এ দেখেছে মর্মান্তিক বন্যা। তবে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে এই শহরের তেমন কোনও সম্পর্কই নেই। আবহাওয়াবিদদের দেওয়া তথ্য বলছে, মুম্বই এমন ঘূর্ণিঝড় শেষবার প্রত্যক্ষ করে ১৮৯১ সালে।