আগ্রা, ৫ জুলাই: এবার লাভ জিহাদের শিকার প্রাক্তন আইএএসের মেয়ে৷ ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের আগ্রা৷ সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, বছর ১১ আগে আদিত্য নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়৷ সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত৷ আদিত্যর আসল নাম আরিফ হাশমি (Arif Hashmi)৷ সে পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী৷ লখনউয়ে তার ব্যবসা৷ ২০১০ সাল নাগাদ ভাঁড়ানো নামেই আইএএস অফিসারের মেয়েকে বিয়ে করে সে৷ ওই তরুণী ছিলেন বিধবা৷ তিনি আদিত্যর মনোবাসনা বিন্দুমাত্র টের পাননি৷ পুলিশ জানিয়েছে বিবাহিত জীবনের বেশ কয়েক বছর কাটার পর তরুণী জানতে পারেন আদিত্যর প্রকৃত পরিচয়৷ স্ত্রীর কাছে প্রকৃত পরিচয় সামনে আসার পরেই নিজের রূপ ধারণ করে আরিফ৷ আরও পড়ুন-Honour Killing in Uttar Pradesh: যোগীর রাজ্যে সম্মান রক্ষার্থে খুন, সঙ্গী-সহ মেয়েকে গুলি করে মারল বাবা
অভিযোগ, এরপর থেকে স্ত্রীকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টায় উঠেপড়ে লাগে সে৷ স্বামীর পরকৃত পরিচয় জানার পর থেকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন ওই তরুণী৷ এবার ধর্মান্তরিত হতে হবে শুনে তুমুল আপত্তি জানান৷ সবমিলিয়ে আরিফের ভালোমানুষির মুখোশ খসে পড়ে৷ ইচ্ছেপূরণ না হওয়ায় স্ত্রীর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে৷ সঙ্গে চলতে থাকে ব্ল্যাকমেলিংও৷ তরুণীর প্রাক্তন স্বামীর হোটেলেই তাঁকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচর করত আরিফ৷ প্রায় বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা৷ স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণ, ডাকাতি, জালিয়াতি ও বেআইনি ধর্মান্তরণ ইত্যাদি ধারায় অভিয়োগ দায়ের করেন৷
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বোত্রে রোহন প্রমোদ জানিয়েছেন, “এই অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন-সহ ভারতী, দম্ডবিধির বহু ধারায় মামলা রুজু করেছি৷ অভিযুক্তকে রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে বাকি তদন্তও চলছে৷” তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে অনেক ছবি পেয়েছে যেখানে সমাজবাদী পার্টি ও আপের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ধৃত আরিফ হাশমিকে দেখা যাচ্ছে৷