সূর্যোদয়ের পূর্বের ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট সময়কালকে বলে ব্রাহ্মমুহূর্ত। যেমন কোনওদিন সূর্যোদয় যদি ৫:৫৭ মিনিটে হয় তবে সেদিন ভোর ৪:২১ মিনিট থেকে ৫:৫৭ মিনিট পর্যন্ত সময়কালকে বলা হবে ব্রাহ্মমুহূর্ত। তবে সূর্যোদয়ের সময় প্রতিদিন পরিবর্তন হয়। বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে ওঠা খুবই ভালো। ব্রাহ্মমুহূর্তের মধ্যে ঘুম থেকে উঠলে শরীর ও মন দুইই ভালো থাকে। এই শুভ সময়ে ঘুম থেকে উঠে দর্শন করুন শ্রী রামলালার। তার চরণে প্রণাম করে শুরু করুন শুভ দিন। শুভ মুহূর্তে তোলা এই ছবি সেভ করে রাখুন নিজের ফোনে। সকালে চোখ খুলেই দেখুন এই ছবি।
প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো আন্দোলনে ইতি টেনে তৈরি হয় রাম মন্দির। অযোধ্যায় নবনির্মিত মন্দিরে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় রামলালা মূর্তির। দেশব্যাপী বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সাক্ষী ছিলেন সেদিনের অনুষ্ঠানে। গোটা অনুষ্ঠানের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন বেদ এবং পুরাণ অনুসারে জটিল আচার-অনুষ্ঠান ধাপে ধাপে অনুসরণ করে রামলালার মূর্তিতে করা হয় প্রাণ সঞ্চার। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে, একাধিক আধিবাসের মধ্য দিয়ে যায় রামলালার মূর্তিটি । এরপর দেব মূর্তিকে স্নান ও অভিষেকের করানো হয়। পঞ্চামৃত, বিভিন্ন সুগন্ধি ফুল, আখের রস- এই রকম ১০৮ ধরনের উপকরণ দিয়ে এই অভিষেক হয়। মন্দিরের আশেপাশে প্রদক্ষিণ করানো হয় রামলালার মূর্তিকে। মন্দির প্রদক্ষিণ করার ফলে সে স্থানের ঐশ্বরিক শক্তি জেগে ওঠে। এদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল দেবতার চক্ষু দান। অযোধ্যার রাম মন্দিরের আনন্দে মেতে ওঠে গোটা দেশ।