পদ্মশ্রী পুরস্কার (Padma Shri Award) হাতে পাওয়ার আগেই জীবনাবসান। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পণ্ডিত লক্ষণ ভট্ট তৈলঙ্গ (Pandit Laxman Bhatt Tailang)। শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন বর্ষীয়ান শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরের দুর্লভজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তৈলঙ্গ। গত কয়েকদিন ধরে নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শনিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালেই মারা যান রাজস্থানের বিখ্যাত ধ্রুপদ গায়ক। তাঁর হাত ধরেই সঙ্গীত জগতে ধ্রুপদ গান এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল। পণ্ডিত লক্ষণ ভট্ট তৈলঙ্গর মৃত্যু সঙ্গীত জগতের এক বড় ক্ষতি।
২৬ জানুয়ারি কেন্দ্র সরকারের তরফে পদ্মশ্রী পুরস্কারের (Padma Shri Award 2024) তালিকা ঘোষণা করা হয়। রাজস্থানের চার ব্যক্তিত্বের নামও পদ্ম পুরস্কারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে একজন হলেন জয়পুরের ধ্রুবপদ গায়ক পণ্ডিত লক্ষ্মণ। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে শিল্পীর অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে কেন্দ্র সরকার। তবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, পুরস্কার হাতে পাওয়ার আগেই প্রয়াণ ঘটল শিল্পীর।
ধ্রুপদ গায়ক পণ্ডিত লক্ষ্মণ ভট্ট তাঁর পুত্র রবি শঙ্কর, কন্যা শোভা, ঊষা, নিশা, মধু, পুনম এবং আরতিকে ধ্রুপদ সঙ্গীতের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ঘরানায় দক্ষ করে তুলেছেন। প্রয়াত শিল্পীর কন্যা অধ্যাপক মধু ভট্ট তৈলঙ্গ রাজস্থানের বিখ্যাত ধ্রুপদ গায়িকা জানান, 'গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পণ্ডিতজিকে দুর্লভজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি'।