Representational Image

নয়াদিল্লি : ধর্ষণ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ওড়িশা হাইকোর্টের (Orissa High Court)। ১০ বছর ধরে কারাগারে থাকা ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল।

আদালতে নির্যাতিতা জবানবন্দি দিয়েছেন, তাঁর সম্মতিতেই যৌনতা হয়েছে। তখন ওই মেয়েটির বয়স ছিল ১৭ বছর। আদালত মেয়েটির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য রেকর্ডে থাকা সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে ধর্ষণ প্রমাণিত হয়নি।

বিচারপতি এস কে সাহু বলেন, মামলার রেকর্ড থেকে দেখা যাচ্ছে ওই সময় মেয়েটির বয়স ছিল ১৭ বছর। সে তাঁর নিজের ইচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে বনে যেত এবং প্রতিদিন তাঁর সঙ্গে সেক্স করত।

হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেয়েটি জানতেন যে ওই ব্যক্তি বিবাহিত। তাঁর চার সন্তানও রয়েছে।দুজনের সম্মতি ছিল এই শারীরিক সম্পর্কে।

বিচারপতি সাহু রায়ে বলেন, 'অভিযুক্ত কখনও মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়নি। মেয়েটি আরও জানতেন যে অভিযুক্তের সঙ্গে বিবাহ সম্ভব নয়, কারণ তিনি সন্তানসহ বিবাহিত পুরুষ। সুতরাং, আমার মতে এটি সম্মতিমূলক ছিল।'

আরও পড়ুন : Delhi: ফের ভয়াবহতা, দিল্লিতে উদ্ধার মহিলার দেহাংশ

উল্লেখ্য, মেয়েটির বাবা ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন।তার পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালে ১৪ আগস্ট ওই অভিযুক্ত শান্তনু কৌরিকে সুন্দরগড়ের অতিরিক্ত দায়রা আদালত ধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে।এরপর ২০১৯ সালে ওই অভিযুক্ত হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন।

এদিন আদালতের রায়, সব কিছু বিবেচনার পর ভিকটিম যদি বলে থাকেন যে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে, তাহলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।