প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Getty Images)

হায়দরাবাদ, ৪ জুন: হায়দরাবাদে নাবালিকা ধর্ষণের (Hyderabad Minor Rape Case) ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Hyderabad Police)। এনিয়ে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাদুদ্দিন মালিক (Saduddin Malik) নামে এক অভিযুক্তকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সকালে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন নাবালক। ওই পাঁচ জনই প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের। ধৃতদের মধ্যে একজন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি দলের স্থানীয় নেতার ছেলে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের একটি পানশালায় এক বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন ওই নাবালিকা। ওই পানশালায় সে সময় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মেহমুদ আলির নাতির ব্যাচেলর পার্টি চলছিল। সেখান থেকে অভিযুক্তরা ওই নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে একটি পেস্ট্রির দোকানে যায়। এরপর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি মার্সিডিজ গাড়ির ভিতরে ঢোকানো হয়। সেখানেই পাঁচজন তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে পকসো আইনে শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করে। পরে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাতি জড়িত নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিসিপি (পশ্চিমাঞ্চল) জোয়েল ডেভিস বলেছেন, "নির্যাতিতা অপরাধীদের সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করতে পারেনি। সে শুধুমাত্র একটি নাম প্রকাশ করেছে এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং নির্যাতিতার বক্তব্য অনুযায়ী আমরা পাঁচজন অপরাধীকে শনাক্ত করেছি।" আরও পড়ুন: Journalist Rajdeo Ranjan Murder Case: সিবিআইয়ের খাতায় মৃত, সেই তিনিই কি না আদালতে হাজিরা দিলেন!

তেলেঙ্গানার তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কেটি রামা রাও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মেহমুদ আলি, ডিজিপি এবং হায়দরাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনারকে ধর্ষণের ঘটনায় অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। অবস্থান বা পারিবারিক পরিচয় নির্বিশেষে অভিযুক্তদের কোনও প্রকার রেয়াত না করারও আবেদন করেন তিনি।