চেন্নাই, ১২ আগস্ট: “মামার বাড়ি ভারী মজা কিল চড় নাই৷” শিশুদের এই আপ্তবাক্যে ভোলানোর দিন সত্যি সত্যিই শেষ হয়েছে৷ মামার বাড়িতে দিনের পর দিন যৌন হেনস্তার শিকার ৭ বছরের নাবালিকা (Minor girl)৷ নাবালিকার দাদু, মামা ও দাদা তার উপরে এই অত্যাচার চালিয়েছে৷ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি চেন্নাইয়ের (Chennai) মাডিপাক্কম এলাকার৷ ধৃত দাদু ও মামাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে৷ অন্যদিকে নাবালিকার দাদাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, ৬২ বছরের দাদু মেয়েকে সাহায্য করা জন্য নাতি নাতনিকে নিজের বাড়িতে আনেন৷ করোনাকালে অনলাইনেই ক্লাস তাই দাদুর বাড়ি থেকে পড়াশোনায় কোনও অসুবিধা হবে না বুঝে মা ছেলে মেয়েকে পাঠাতে দ্বিধা করেননি৷ দাদু চাড়া ৪২ বছরের মামাও সেই বাড়িতে থাকে৷ গত ২ আগস্ট দাদুর কাছে অঘোরে ঘুমোচ্ছিল নাবালিকা৷ সেই সময়ই তার উপরে যৌনি নির্যাতন চালায় বৃদ্ধ৷ দাদুর এহেন আচরণে চমকে উঠে শিশুকন্যা ততক্ষণে মামার কাছে সাহায্যের জন্য ছুটেছে৷ তবে কপাল তার সত্যি খারাপ৷ মামাও একরত্তি ভাগ্নির শ্লীলতাহানির সুযোগ হাতছাড়া করেনি৷ আতঙ্কিত বাচ্চাটি তখন বছর ১৬-র দাদা কাছে সাহায্যের জন্য গেলেও সেখানেও তাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়৷ আরও পড়ুন-YouTube Suspends US Senator’s Account: করোনা নিয়ে ভুল বার্তায় বিপাকে মার্কিন সেনেটর, বন্ধ ইউটিউব অ্যাকউন্ট
তবে এটি একদিনের ঘটনা নয়৷ নিয়মিত দাদু, মামা ও দাদা নাবালিকার উপরে যৌন নির্যাতন চালাতে থাকে৷ বিষয়টি তখনই প্রকাশ্যে আসে যখন ছেলেমেয়েকে দেখতে ওই বাড়িতে আসেন নাবালিকার মা৷ তিনি লক্ষ্য করেন ছোট মেয়ে ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না৷ রোগা হয়ে গেছে৷ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতেই মায়ের কাছে সব বলে দেয় নির্যাতিতা৷ সব শুনে মাডিপক্কমের মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা৷ পকসো অ্যাক্টে মামলা দায়েরের পর নির্যাতিতা নাবালিকাকে শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷