বেঙ্গালুরু, ১০ মেঃ বিয়ে ভেঙে যেতেই নাবালিকা তরুণীর মাথা দেহ থেকে আলাদা করার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। সদ্য মাধ্যমিক পাশ করেছিল মৃত তরুণী। এরপরেই তাঁর বিয়ের ঠিক করে পরিবার। কিন্তু মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় প্রতিবেশীরা শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশনকে বিষয়টা জানায়। এরপর বৃহস্পতিবার বাগদানের অনুষ্ঠানের মাঝে হাজির হয় কমিশনের দল। নাবালিকার বিবাহ বেআইনি দাবি করে বিয়েটাই পন্ডুল করে দেওয়া হয়। বাগদানের (Engagement) অনুষ্ঠান থেকে শূন্য হাতেই ফিরে যেতে হয় পাত্রকে। বাগদান ভাঙার পরের দিনই তরুণীর শিরচ্ছেদ। কর্ণাটকের (Karnataka) মাদিকেরির সুরলাব্বি গ্রামের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ৩২-এর প্রকাশের সঙ্গে দশম শ্রেণির ওই নাবালিকার বিবাহের কথাবার্তা চলেছিল। সেই মত বৃহস্পতিবার দু পরিবারের তরফে পাত্র-পাত্রীর বাগদানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় বেজায় চটেছিলেন যুবক। যার মাশুল গুন্তে হল নাবালিকাকে। বাগদান ভাঙার পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে তরুণীর বাড়িতে হাজির হয় প্রকাশ। তরুণীর বাবা-মাকে মারধর করে মেয়েকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায় সে। এরপরেই তাঁর মুণ্ডু ধর থাকে আলাদা করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রকাশের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর থেকেই প্রকাশ পলাতক। অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।