প্রয়াগরাজ, ১৫ ডিসেম্বরঃ মাকে খুন করে দেহ টুকরো করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। খুনের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় মায়ের টুকরো করা দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে হরিয়ানা (Haryana) থেকে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পাড়ি দিয়েছিলেন ছেলে। প্রয়াগরাজের (Prayagraj) ত্রিবেণী সঙ্গমের জলে মায়ের দেহ ফেলে দিয়ে খুনের সমস্ত প্রমাণ নিশ্চিহ্ন হবে, এমন পরিকল্পনাই ফেঁদেছিলেন ২০ বছরের হিমাংশু কুমার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তার সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত।
বিহার (Bihar) গোপালগঞ্জ নিবাসী হিমাংশু এবং তার মা প্রতীভা দেবী (৪২) হরিয়ানার হিসারে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। হিসারের একটি তুলো কারখানায় কাজ করতেন প্রতীভা দেবী। ছেলে হিমাংশু স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতেন। ১৩ ডিসেম্বর মায়ের সঙ্গে বচসায় জড়ান ছেলে। ৫০০০ টাকা মায়ের থেকে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মা সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মাকে শ্বাসরোগ করে খুন করে হিমাংশু। এরপর তার দেহ টুকরো করে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে (Triveni Sangam) গিয়ে ফেলে আসার পরিকল্পনা সাজায়। সেই মত বৃহস্পতিবার প্রয়াগরাজের (Prayagraj) উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় সে।
ত্রিবেণী সঙ্গমের কাছেই মায়ের মৃতদেহের টুকরো ভর্তি ট্রলি ব্যাগ সহ গ্রেফতার হন হিমাংশু। মাঝ রাতে যুবকের অদ্ভুত আচার আচরণ দেখে সন্দেহ হয় রাতে টহলদারি পুলিশের। এরপর তার ট্রলি ব্যাগ খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। কাপড়ে মোড়া রক্তাক্ত মহিলার দেহাংশ বের হয় ট্রলি থেকে। এরপরেই পুলিশ গ্রেফতার করে হিমাংশুকে। পুলিশি জেরায় মাকে খুন এবং তারপর দেহ টুকরো করার অপরাধ শিকার করেছে ছেলে।