Ranjan Gogoi: করোনা আক্রান্ত নন ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ
রঞ্জন গগৈ (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ৫ আগস্ট: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি রাজ্যসভা সাংসদ তথা ভারতের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ(Ranjan Gogoi)। বুধবার এক টুইটবার্তায় তিনি জানান তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরটি ভুল। এদিন এক সাংবাদ মাধ্যমকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, “এই খবর ভুল।” বেশকিছু আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে কোভিড-১৯ পজিটিভ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। এই খবর সামনে আসার পরেই নিজের সুস্থতার কথা টুইটে জানান রাজ্যসভার সাংসদ। গতবছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যার বিতর্কিত জমিত রাম মন্দির তৈরির পক্ষেই রায় দেয়। সেই সাংবিধানিক বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

শুধু রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায়ই নয়। সেদিন বিতর্কিত জমির দাবিতে আইনি লড়াইতে থাকা মুসলিমদের জন্য অযোধ্যার অন্যত্র ৫ একর জমির বন্দোবস্তও করে সুপ্রিম রায়। সেখানে মুসলিমরা মসজিদ তৈরি করতে পারবে। বিচারপতি হিসেবে তিনিই সেই চারজনের একজন যিনি ২০১৮-র জানুয়ারিতে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন দীপক মিশ্র। এরপর দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে রঞ্জন গগৈ-কে মনোনীত করে ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত বছর নভেম্বরে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে সুপ্রিম রায়দানের পরেই প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। চলতি বছর মার্চে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। প্রথম ২০০১ সালে গুয়াহাটি হাইকোর্টে বিচারক নিযুক্ত হন রঞ্জন গগৈ। তারপর ২০১০ সালে বদলি হয়ে চলে আসেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে। সেখানেই ২০১১-তে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ২০১২-র ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়ে আসেন গগৈ। তারপর ২০১৮-র ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে দেশের ৪৬-তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: ‘হিন্দু মুসলিম শিখ আমরা ভাই ভাই’, রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর দিনে সম্প্রীতির বার্তা মমতা ব্যানার্জির

শুধু রাম মন্দিরের পক্ষে অয়োধ্যার বিতর্কিত জমির রায়দানই নয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আরও একটি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয়ের রায় দিয়েছেন রঞ্জন গগৈ। তা হল, রাফাল কেলেঙ্কারির মামলা। এই মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তৈরি হয়। সেখানে ছিলেন বিচারপতি এসকে কাউল ও কেএম যোসেফ। এই ডিভিশন বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন রঞ্জন গগৈ। রাফাল চুক্তি নিয়ে যে রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছিল। গত ১৪ নভেম্বর রঞ্জন গগৈ-এর ডিভিশনবেঞ্চে সেই পিটিশন ডিসমিস হয়ে যায়। রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, “চৌকিদার চোর হ্যায়”, এজন্য কংগ্রেস নেতাকে সেন্সরও করেন রঞ্জন গগৈ।