‘বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছি, আমাদের কী চমকাবেন?’ দিলীপ ঘোষকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিলীপ ঘোষ(Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ২৮ আগস্ট: একদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কর্মী ও পুলিশকে মেরে বংশ লোপের হুমকি দিয়েছেন। বিজেপির কর্মীদের খুল্লমখুল্লা ছাড়পত্র দিয়েছেন, যাতে তারা তৃণমূল সমর্থক ও পুলিশকে পেটাতে পারে। নিজেও পুলিশের চামড়া খুলে তেল ঝরানোর কথা বলেছেন। একদিন পরেই নাম না করে দিলীপবাবুকে পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে দলনেত্রী এদিন বলেন, যারা চমকানোর বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে তাদের চমকানো যায় না।

মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার এক জনসভায় দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'আমি যদি খুন করি, বংশ লোপ করে দেব। তৃণমূল নেতা, পুলিশ কাউকে রেয়াত নয়। মারবেন, ফেলে দেবেন, দায়িত্ব আমার, না পারলে বুঝব আপনারা বিজেপি কর্মী নন।' দিলীপের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে কাল থেকেই। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে সুয়োমোটো কেস করেছে পুলিশ। গতকাল তৃণমূলের কয়েকজন নেতা বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও মুখ খোলেননি নেত্রী। এদিন টিএমসিপির (TMCP) সভা থেকে দিলীপবাবুকে পাল্টা দিলেন তিনি। বললেন, অনেকে অনেক ভাবে চমকান। নতুন নতুন যাঁরা ক্ষমতা ভোগ করছেন তাঁরা ভাবছেন, একটু চমকাই। চমকানো তাদেরই যায় যাঁরা জীবনে চমকানো দেখেনি। কিন্তু যাঁরা সারা জীবন চমকানোর বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছেন তাঁদের চমকানো যায় না। আমরা তো বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করে এসেছি। আপনারা আমাদের কী চমকাবেন। কী ভয় দেখাবেন?' আরও পড়ুন-‘জেলে যাব তবুও বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মানব না’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই দিলীপ ঘোষের মুখ (Dilip Ghosh) আরও বেলাগাম হয়েছে। আগে কখনও রেখে ঢেকে বলতেন। এখন একেবারে খোলাখুলি তৃণমূল ও পুলিশকে মারধরের হুমকি দিচ্ছেন তিনি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়তেই আরও সক্রিয় দিলীপ ঘোষ। কী করে গোটা বাংলাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) হাত থেকে পদ্ম শিবিরে চলে আসে তাঁর পরিকল্পনা করছেন তিনি। সঙ্গে পেয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়কে। তবে জানন্তিকে এমনও শোনা যায়, কয়েকদিন দলে এসেই মুকুলবাবুর (Mukul Roy) রমরমাতে তেমন খুশি হতে পারেননি দিলীপ ঘোষ। আগামী বিধানসভা ভোটের পরেই এই দুই নেতার স্বরূপ আরও ভালভাবে স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।