মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Photo Credit: PTI)

কলকাতা, ২৮ আগস্ট: বিজেপি ‘রাবনের উপসাক’, তাই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে উঠেপড়ে লেগেছে। ধর্মের নামে মানুষকে দলে টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। সিবিআই আর ইডি-র ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে ভাঙিয়ে দলে টানতে চায় বিজেপি। যেই দেখচে কেউ রাজি হচ্ছে না অমনি জেলে পুরে দেবার ভয় দেখাচ্ছে। তবে জেলে যেতে রাজি থাকলেও বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মানতে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এভাবেই ধর্মতলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি সারা দেশে একনায়ক তন্ত্র চালাচ্ছে। দেশে প্রেসিডেন্সিয়াল ডেমোক্রেসি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। এরা কারও কোনও কথা শোনে না। মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। সংবাদমাধ্যমগুলোকে সব কিনে নিয়েছে। ‘জয় শ্রী রাম’ (Jay Shri Ram) ধ্বনি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলছে দেশজুড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এভাবে কেন্দের বিজেপি সরকারকে মুহুর্মুহু আক্রমণে বিদ্ধ করছেন, তখন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাম কে নাম তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন চায়, বাকিরা বাদ সেধেছে। শেষপর্যন্ত সমস্ত বিতর্ক এড়াতে রাম কে নাম প্রদর্শিত হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আজ তো তৃণমূল সুপ্রিমো বলেই দিলেন রাবনের পুজো করে বিজেপি, তাই রাম মন্দির তৈরি করতে চায়। আরও পড়ুন-নরেন্দ্র মোদি সরকারের নতুন মোটর ভেহিক্যালস আইন চালু হচ্ছে না রাজ্যে, বিধানসভায় জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

এদিন নাম না করে মুকুল রায়কেও (Mukul Roy) একহাত নেন তিনি। সাত জনরে নাম মুখ থেকে বের করতে পারলনা আর বলচে ১০৭ জন বিধায়ককে নাকি দলে টানবে। জেলে যাব তবুও বিজেপির (BJP) সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মেনে নেব না। এত সস্তা নয়। বিজেপি বাংলা দখল করতে চাইছে, ওদের বাংলা চাই। আজ আমার ভাইকে ডাকছে কাল আমাকে ডাকবে। এসব হতে দেওয়া যাবে না। লোকসভা ভোটে কোণঠাসা হয়েও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সভায় ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee।