রামপুরহাট, ২৭ মার্চ: রামপুরহাটের বগটুই (Bagtui) গ্রামে হত্যাকাণ্ডের (Rampurhat Massacre) তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) ৩০ জনের দল তদন্তে গিয়েছে। এই দলটি রামপুরহাটের সরকারি গেস্ট হাউসে একটি অস্থায়ী শিবির করেছে। ওই শিবির থেকেই গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় নজর রাখা হচ্ছে। সিবিআই আধিকারিকদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) পাঠানো হয়েছে। অর্থাৎ সিবিআই আধিকারিকদের রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে না। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ৩৫ জন সিআরপিএফ (CRPF) নিয়োগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জন্য। সিআরপিএফ জওয়ানদের জন্য আলাদা ব্যারাক তৈরি করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, আজ স্বজনহারা বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই। ওইদিন রাতে পরপর কী ঘটেছিল? তা জানতে চাওয়া হবে। মনে করা হচ্ছে, স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের বয়ান থেকে অনেক কিছুই জানা যেতে পারে। প্রথমে সিবিআই যাবে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মফুজা বিবি-সহ বেশ কয়েকজন ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। আরও পড়ুন: Bombs Recovered In Rampurhat: বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে আজও ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার
গত সোমবার রামপুরহাটের বগটুইয়ে বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। ওই রাতেই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে ৮ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। অগ্নিদগ্ধ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র হাতে গিয়েছে তদন্তভার।