
নয়াদিল্লিঃ ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১ টা বেজে ৩২ মিনিট। আমেদাবাদের (Ahmedabad) সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের (London) উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-এর এআই ১৭১ বিমান। আকাশে ওড়ার চার মিনিটের মধ্যে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শেষবার কন্ট্রোল রুমে মে ডে কল দেন পাইলট। কিন্তু আর ফ্লাইটটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বিমানবন্দর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে ক্যান্টিনে গিয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার 'ড্রিম লাইনার।' সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ। দাউ দাউ করে জ্বলছে সব। চিৎকার, ভয়, আর্তনাদ মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের পরিবেশ। প্রাণে বাঁচতে হোস্টেলের জানালা থেকে ঝাঁপ দেন কেউ কেউ। মৃত্যু হয় বিমানে সওয়ার ২৪১ জনের। বেঁচে যান ১১(এ) সিটের যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কীভাবে দুর্ঘটনা? আমদেবাদের ঘটোনাস্থলে তদন্তকারীরা
এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন ডাক্তার, ডাক্তারি পড়ুয়া এবং হাসপাতাল কর্মীর। তবে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানান হয়নি। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। ২০১০ সালে মেঙ্গালুরু বিমান দুর্ঘটনার পর এত বড় বিমান বিপর্যয়ের সম্মুখীন হল ভারত। কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা? এর উত্তর খুঁজে চলেছেন অনেকেই। ঘটনার দু'দিন পর, আজ, রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গেল 'এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো।' দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন তদন্তকারীরা। সংগ্রহ করলেন নমুনা এবং নথি। আগেই উদ্ধার কর হয়েছিল বিমানটির ব্ল্যাকবক্স। সেই ব্ল্যাকবক্সের ডেটা খতিয়ে দেখার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার ঘটোনাস্থল থেকে নথি জোগাড় করতে নেমে পড়েছে এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো।
আমেদাবাদ বিমান বিপর্যয়ের নেপথ্যে কী কারণ? উত্তর খুঁজতে দুর্ঘটনাস্থলে এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো
#WATCH | #AhmedabadPlaneCrash | Aircraft Accident Investigation Bureau team at the London-bound Air India flight's crash site.
Of the 242 people onboard the plane, 241 people, including the crew members, died in the crash. pic.twitter.com/rkxAcuEtIr
— ANI (@ANI) June 15, 2025