গুরুগ্রাম, ২৭ সেপ্টেম্বর: সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ আনলেন তরুণী। প্রথমে খোয়া যাওয়া মানিব্যাগ পেয়েছি নিয়ে যাও বলে টোপ ফেলে ওই সহকর্মী। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে সহকর্মীর বাড়িতে যান তরুণী। তখন মানিব্যাগ দেওয়ার বদলে সৌজন্য বশত শরবত খেতে দেওয়া হয়, সেটি পান করেই ঘোরের মধ্যে চলে যান ওই তরুণী। অভিযোগ, এই সময়ই তাঁকে ধর্ষণ করে পুরুষ সহকর্মী। আপত্তিকর কিছু ছবিও তুলে রাখে। তারপর তাঁর জ্ঞান ফিরলে সেই ছবিদিয়েই ব্ল্যাকমেল করে অভিযুক্ত জোর করে মদ্যপান করিয়ে ফের ধর্ষণ করে। হুমকি দেয় এই ঘটনা বাইরের কাউকে বললেই ওই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেবে।
এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে সহবাস শুরু করে অভিযুক্ত। ঘটনাটির সূত্রপাত গতবছর অর্থাৎ ২০১৮। প্রায় বছর খানেক ধরে এই সম্পর্ক চলার পর ওই তরুণী অভিযুক্তকে বিয়ের কথা বলতেই সে প্রথমে খেপে যায়। তারপর তরুণীর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে। তাঁরা দুজনেই গুরুগ্রামের (Gurugram) একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠলে অভিযুক্ত যুবক চাকরি ছেড়ে দিয়ে উধাও হয়ে যায়। এদিকে তরুণীর সন্দেহ হতেই তিনি খোঁজ খবর শুরু করেন। জানা যায়, নির্যাতিতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চলাকালীনই আরও এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিল অভিযুক্ত। সেই সম্পর্কের বয়স প্রায় তিনবছর। এরপর ফের অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করে বিয়ের প্রস্তাব দেন নির্যাতিতা, শোনা মাত্রই তা নাকচ করে দেয় ওই যুবক। আরও পড়ুন-বিচারকের ব্যাগ হাতিয়ে উধাও ‘ঠক ঠক গ্যাং’, ডাকাত দলের দৌড়াত্মে রাজধানীতে শোরগোল
নির্যাতিতা তখন ভালভাবেই বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। প্রথমে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ, তারপর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, যৌন হেনস্তা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাগাতার সহবাস সবমিলিয়ে একাধিক অভিযোগ আনেন নির্যাতিতা। নিকটবর্তী থানায় অভিয়োগ দায়ের হলেও এখনও প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।