ইমরান খান(Photo Credit: PTI)

ইসলামাবাদ, ১৬ সেপ্টেম্বর: ইমরান খান কাশ্মীরের ঘটনায় নাজি বাহিনীর উদাহরণ টেনেছিলেন, এবার নিজের একতন্ত্র্রের নিদর্শন দেখাচ্ছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদে তিনি এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন। সেদিন তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতায় সেখানে ছাত্র যুবদের একটি মিছিলও বেরিয়েছিল। ইমরান খানের কানে সেই খবর পৌঁছাতে সময় নেয়নি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কিনা প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতায় মিছিল, এতবড় স্পর্ধা! এবার সেই সব প্রতিবাদী ছাত্রযুবদের বেরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগ। পাকিস্তান যে অধিকৃত কাশ্মীরে দমন নীতি চালাচ্ছে, তার প্রমাণ এই এফআইআর দায়ের হওয়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগেই ভারতের আনা অভিযোগকে সত্যি করে দিল এই এফআইআর।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদে (Muzaffarabad) এক জনসমাবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistan Prime Minister Imran Khan)। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখেন, সেই বক্তব্যের গালভরা নাম ছিল ‘কাশ্মীর আওয়ার’। তবে সেই সমাবেশ সফল হয়নি অন্তত ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম তেমনটাই বলছে। ইমরানের বক্তব্য শুনতে সেখানে দর্শক স্রোতার ভিড় ছিল নামমাত্র। এমনকী, সমাবেশের অদূরেই ইমরানের বিরোধিতায় মিছিল করেন স্থানীয় যুবকরা। এরপরেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সমালোচকরা ইমরানের বক্তব্যকে সুপার ফ্লপ বলে উল্লেখ করেন। এদিকে জনপ্রিয়তায় ভাঁটা দেখে মুজাফ্ফরাবাদের সমাবেশের দু একদিনের মধ্যেই ফের ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেন ইমরান। তবে জনপ্রিয়তায় ভাঁটা দেখে প্রসঙ্গ বদলে ফেলে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছে ভারত। তাই দুই দেশের মধ্যে যে দিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা ছিল তা নষ্ট হয়েছে। আরও পড়ুন-ভারতের সঙ্গে প্রথাগত যুদ্ধে হেরে যেতে পারে পাকিস্তান, স্বীকার করেও ইমরান খানের পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি

এই বক্তব্যের মাধ্যমে যে ভারতকেই দোষারোপ করতে চেয়েছেন ইমরান তা স্পষ্ট। তিনি বার বার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরে সেনা মোতায়েন করে সেখানকার বাসিন্দাদের উপরে অত্যাচার চালিয়েছেন। গোটা উপত্যাকায় কমিউনিকেশন ব্লক করে দেওয়ায় তা প্রকাশ্যে আসেনি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুসলিম বিশ্ব। এসব বলে ইমরান যে কট্টরবাদী মুসলিমদের চোখের বালি করতে চেয়েছেন ভারতকে না বলার অপেক্ষা রাখে না।