শ্রীনগর, ১৫ অক্টোবর: ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার দাবিতে জোর বিক্ষোভে উপত্যকা। বিক্ষোভ থামাতে প্রচুর মহিলা-সহ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার পরিবার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন বিচারপতি বশির আহমেদ খানের পরিবারের মহিলাদের আটক করল পুলিশ। আটক হওয়া মহিলাদের মধ্যে রয়েছেন ফারুক আবদুল্লার বোন সুরাইয়া আবদুল্লা (Suraiya Abdullah) ও মেয়ে সোফিয়া আবদুল্লা খান (Safiya Abdullah Khan)। সেই সঙ্গে বশির আহমেদ খানের স্ত্রী হাওয়া বশির। সুরাইয়া আবদুল্লা এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “গত পাঁচ আগস্ট আমাদের গৃহবন্দি করে রতারাতি কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ অধিকার খর্ব করার পাশাপাশি ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হল। এটা অনেকটা জোর করে বিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়, যা কখনওই কাজে আসবে না।”
এই মহিলা বিক্ষোভকারীদের তরফে একটি বিবৃতিও প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, “আমরা কাশ্মীরি মহিলারা কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া, সংবিধানের ৩৫-এর এ ধারার অবলুপ্তি ঘটানো ও বিশেষ অধিকার খর্ব করার মতো ভারত সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত মানি না।” উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে সেটিকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দিয়েছে। তারপর থেকেই অশান্ত গোটা কাশ্মীর। পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনতে দুমাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট চলল। এখন যদিও নিয়মকানুন কিছুটা শিথিল হলেও সবটা স্বাভাবিক নয়। ফাকুক আবদুল্লাকে তাঁর বাড়িতেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের দাবি তাঁকে নাকি পিএসএ-কে চড় মারতে দেখা গিয়েছে। আরও পড়ুন-Ayodhya Case Hearing, Day 39: ‘মুসলিমরা অন্য কোথাও নামাজ পড়ুক, অযোধ্যা শুধুই হিন্দুদের’
এদিকে ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) ভাই তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রবীণ নেতা মুস্তাফা কামাল (Mustafa Kamal) তাঁর বাড়িতে বন্দি আছেন। ছেলে ওমর আবদুল্লাকে (Omar Abdullah) হরি নিবাসে (Hari Niwas) বন্দি করে রাখা হয়েছে। মূলত এঁরা যাতে স্থানীয় কাশ্মীরিদের মধ্যে কোনওভাবেই ৩৭০-ধারা (Article 370) নিয়ে বিশদে আলোচনা করতে না পারে তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। তবে চেষ্টা করেও সীমান্তে জঙ্গি তৎপরতা কমাতে পারেনি।। এর মধ্যেই অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে ছোটখাটো হামলা খুন অপহরণ সবই নির্দ্বিধায় ঘটিয়ে যাচ্ছে ওপারের জঙ্গিরা।