মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাকেশ মারিয়া(Photo Credits: ANI)

মুম্বই, ১৯ ফেব্রুয়ারি: মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাকেশ মারিয়া (Rakesh Maria in Autobiography 'Let Me Say It Now':) আত্মজীবনী লিখেছেন। দুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘লেট মি সে ইট নাউ’ বইতে। তিনি জানিয়েছেন, ২৬/১১ হামলার সময় মেট্রো জংশনের পথচারীকে ভুল পথে চালিত করতে জঙ্গি আজমল আমির কাসভ দুবার ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানও তোলে। মুম্বই হামলাকে হিন্দু সন্ত্রাস হিসেবে দেখাতে চেয়েছিল পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-এ-তৈবা। তাই কাসভ মারা গেলে কেলাটা তেমনই সাজানো হত যেমনটা লস্কর চেয়েছিল। কেননা কাসভের হাতে বাঁধা ছিল লাল রঙের সুতো। সহজে তাকে কেউ মুসলিম বলবে না ওই সুতো দেখার পর। আর পরিচয়পত্রে ছিল সমীর দীনেশ চৌধুরি। বাড়ি বেঙ্গালুরু। কিন্তু কাসভ যে হামলায় মরবে না তা ভাবেনি লস্কর, তাই এহেন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ফলতে পারেনি।

কমিশনার রাকেশ মারিয়া নিজেই বেশ কয়েকবার কাসভের জেরা করেছেন। একবার জেরার সময় প্রায় জোর করেই কাসভকে দিয়ে দুবার ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলিয়ে নিয়েছিলেন। ২০০৮ এর মুম্বই হামলায় ১৭৪ জনের মৃত্যু হয়। আর হামলার পর তদন্তভার গিয়ে পড়ে রাকেশ মারিয়ার কাঁধে। তখনই এসব তথ্য তিনি একে একে জানতে পারেন। কাসভ ধরা পড়ার পর তাঁর প্রথম দায়িত্ব ছি‌ল তাকে বাঁচিয়ে রাখা। তিনি জানাচ্ছেন, মুম্বইয়ের পুলিশরা রাগে ফুঁসছিল। পাশাপাশি জঙ্গিদের তরফেও তাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছিল। দাউদ ইব্রাহিমের দলের উপরে ন্যস্ত হয়েছিল কাসভ-হত্যার দায়িত্ব। সে পাকিস্তানের ফরিদকোটের বাসিন্দা। সন্ত্রাস নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই ছিল না কাসভের। কেননা সে ডাকাতি করতেই লস্করে যোগ দিয়েছিল। আরও পড়ুন-Jammu & Kashmir Panchayat Polls Postponed: নিরাপত্তার গেরো, পিছিয়ে গেল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের পঞ্চায়েত ভোট

রাকেশ মারিয়ার লেখা এহেন তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল প্রশ্ন তুলেছেন,  রাকেশ কেন এখন বলছেন? পুলিশ প্রধান হিসেবে তিনি তখন একথা বলে পদক্ষেপ করতে পারতেন। সেসময় কংগ্রেস ও পি চিদাম্বরম মিথ্যের জাল বুনেছিল। আমরা তার নিন্দা করছি। সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয় না। এসব শোনার পর আর এক বিজেপি নেতা রাম মাধব জানান, কোনও কোনও আঁতেলরা মুম্বই হামলাকে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছে। তারা সমর্থনও পেয়েছিল কংগ্রেস নেতাদের। আজ জানা গেল,  এটা আইএসআইয়ের চক্রান্ত ছিল।