শ্রীনগর, ১৯ ফেব্রুয়ারি: ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Jammu & Kashmir Panchayat Polls) আয়োজন হচ্ছিল। কারণ গত বছরই জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন পাস হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগে যখন প্রথম নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয় তখনই তিন সদস্যের সীমান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির ল্ক্ষ্য ছিল উপত্যকায় যে ১০৭টি বিধানসভা আসন আছে তা বাড়িয়ে ১১৪ করা হবে। একদিকে নতুন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর, তার পরে প্রথম পঞ্চায়েত ভোট। তাই তানিয়ে জল্পনা কিছু কম ছিল না। এমন পরিস্থিতিতেই কি না নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়। তাই মঙ্গলবার পিছিয়ে গেল পঞ্চায়েতের উপনির্বাচন। মঙ্গলবার রাতে বিবৃতি দিয়ে উপত্যকায় ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) শৈলেন্দ্র কুমার।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দপ্তর থেকে এদিন রাতে জানানো হয়েছে, সবকিছু খতিয়ে দেখে, দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নয়া নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত মোট আট দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। সব ঠিক থাকলেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে কমিশনের কাছে যে খবর এসেছে, তাতে জম্মু-কাশীরে ভোটের সময় নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় দেখা দিতে পারে। আরও পড়ুন-Debbie Abrahams Visa Row: ডেবি আব্রাহামসের ভিসা বাতিল প্রসঙ্গে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস, শশি থারুর কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেও অভিষেক মনু সিঙভি কী বললেন?
মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আর্জি মেনেই পঞ্চায়েত উপনির্বাচনের দিন পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সবমিলিয়ে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে যেতে পারে। তবে, নতুন দিনক্ষণ এদিন ঘোষণা করা হয়নি। পরে, আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচনের নয়া নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। সরপঞ্চ ও পঞ্চ নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরের সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি আসনে ৫ মার্চ থেকে আট দফায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।