শিবপুরি, ২৪ জুলাই: মিড-ডে-মিল (Mid-day meal), এই টানেই গ্রামীণ ভারতের অধিকাংশ পড়ুয়া আজ স্কুলমুখী। পড়ুয়াদের বাবা-মাও চান ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাক। অন্তত স্কুলে যাওয়ার সুবাদে একবেলা পেট ভরে খেতে তো পাবে। তাই আজকের দিনে ভারতীয় আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মিড-ডে-মিলের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু শিশুদের সেই খাবারেও দুর্নীতি থাবা বসিয়েছে। কখনও খাবারের গুণগতমান খারাপ, কখনও বা তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাঁধুনির অবহেলা। এবার উঠল ঘোরতর অভিযোগ, রান্নাঘর নয় মিড-ডে মিল তৈরি হচ্ছে শৌচাগারে (Toilet)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শিবপুরি জেলার এক চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের। আরও পড়ুন-আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র, চাকরিজীবী মহলে স্বস্তির হাওয়া
বিষয়টি জানজানি হতেই অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এপ্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী রাজকুমারী যোগী বলেছেন, বহুদিন ধরেই শৌচাগারে বাচ্চাদের জন্য মিড-ডে মিল রান্না হচ্ছে। এতে তো কোনও অসুবিধা নেই, কারণ বাচ্চারা সেই মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়নি। তাছাড়া রান্নার জায়গা ছিল না বলেই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বার বার স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি, তাই কী আর করা যাবে। তবে এব্যবস্থা প্রথম নয়, এর আগেও শিবপুরি জেলার অন্য স্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার জন্য শৌচাগারকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। একবার তো মুদিখানার দোকান হিসেবেও ব্যবহৃত হয় শৌচাগার।
যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় শিশু ও মহিলা উন্নয়ন দপ্তর। অনেক জোরাজুরিতে মুখ খুললেন আধিকারিক প্রিয়াঙ্কা বাঙ্কার। তাঁর দাবি, ওই চাইল্ডে কেয়ার সেন্টারটি ছোট, বাচ্চাদের মিড-ডে মিল রান্নার জন্য কোনও ঘর নেই। তাই শৌচাগারে রান্নার আপাত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে শৌচাগারটি নতুন। সেন্টার লাগোয়া এলাকাতেই নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। সেই ভবনেই রয়েছে শৌচাগার। ভবনে নির্মাণকাজ চলায় সেটি এখনও অব্যবহৃত অবস্থাতেই রয়েছে, তাছাড়া সব জায়গায় জলের ব্যাবস্থা নেই। তবে ওই শৌচাগারে জলের সুবিথা থাকায় প্রাথমিকভাবে সেখানেই হচ্ছে মিড-ডে মিল রান্নার কাজ। কিন্তু শৌচাগারে বাচ্চাদের খাবার রান্না হলে তা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত থাকছে এনিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। সুযোগ বুঝে প্রশ্ন এড়িয়েছেন ওই আধিকারিক।