লখনউ, ১৫ ডিসেম্বর: লখিমপুর খেরি-তে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গাড়ি চালিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র 'টেনি' (Ajay Kumar Mishra 'Teni') -র ছেলে আশীষ মিশ্র। এই ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত অ্যাখা দিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল, সিট (SIT)। এরপরও অজয় কুমার মিশ্র-কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরাচ্ছে না বিজেপি।
তবে অজয় কুমার মিশ্র-র ওপর চাপ বাড়ছে। এবার সেই অজয় কুমার মিশ্র সাংবাদিকদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করলেন। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করতে গেলে তেড়ে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। সেখানেই শেষ নয়, সাংবাদিকদের ওপর খারাপ ভাষা বলতে শোনা যায় তাঁকে। ছেলের জেলে যাওয়ার পিছবনে সাংবাদিকদেরই দায়ি করেন তিনি।
দেখুন মন্ত্রীর মেজাজ হারানোর ভিডিও
#WATCH | MoS Home Ajay Kumar Mishra 'Teni' hurls abuses at a journalist who asked a question related to charges against his son Ashish in the Lakhimpur Kheri violence case. pic.twitter.com/qaBPwZRqSK
— ANI UP (@ANINewsUP) December 15, 2021
গত ৩ অক্টোবর ঘটে যাওয়া লখিমপুর খেরি হিংসা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এই রিপোর্ট দিল SIT। লখিমপুর খেরি হিংসায় অভিযুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে যাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। এবং সেই মর্মে শাস্তির বিধান হয়, সেজন্য মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেছে SIT। তদন্তকারী অফিসার বিদ্যারাম দিবাকর গত সপ্তাহে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নতুন ধারার ওয়ারেন্ট-সহ আবেদন জমা করেছে। সেখানে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ও ৩৩৮ ধারার বদলে নতুন ধারা ব্যবহারের আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনপত্রে তদন্তকারী অফিসার বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, লখিমপুর খেরির হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত, কোনওরকম অসাবধানতা বশত এই হিংসার ঘটনা ঘটেনি। রীতিমতো ইচ্ছাকৃত ঘটানো হয়েছে।
এরপরেই তদন্তকারী অফিসার ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ও ৩৩৮ ধারা সরিয়ে ৩০৭, ৩২৬ ও ৩৪ ধারা প্রতিস্থাপনের অনুরোধ করেন। গত ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের SUV গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় আ জনের। মৃতদের মধ্যে চারজন আন্দোলনকারী কৃষক। মৃতদের তালিকায় একজন স্থানীয় সাংবাদিকও ছিলেন। SIT-এর তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে আশিস মিশ্র, লবকুশ, আশিস পাণ্ডে, শেখর ভারতি, অঙ্কিত দাস, লতিফ, শিশুপাল, নন্দন সিং, সত্যম ত্রিপাঠী, সুমিত জয়সওয়াল, ধর্মেন্দ্র বানজারা, রিঙ্কু রানা, উল্লাস ত্রিবেদী। ধৃতদের প্রত্য়েকেই লখিমপুর জেলে বন্দি আছে।