প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

নতুন দিল্লি, ৩০ অক্টোবর: নোট বাতিল (Demonetisation) করে কালো টাকার (Black Money) কারবারিদের পাকড়াও করতে পারেনি প্রথম পর্বের মোদি সরকার। তাই কালো টাকা সাদা করতে সোনা কেনার ফন্দি আঁটা ধনকুবেরদের পাকড়াও করতে উঠে পড়ে লেগে দ্বিতীয় মোদি সরকার। এজন্য খুব শিগগির নতুন অ্যামনেস্টি স্কিম (amnesty scheme) আনছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP Government)। এজন্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি রসিদ ছাড়া সোনা থাকলে তার তথ্য দিতে হবে সরকারকে৷ সোনার মূল্যও জানাতে হবে সরকারকে । সোনার মূল্য নির্ধারিত করার জন্য ভ্যালুয়েশন সেন্টারের সার্টিফিকেট লাগবে৷ কোনও নাগরিক রসিদ ছাড়া যতটা সোনা থাকার ঘোষণা করবেন তার উপরে ট্যাক্স দিতে হবে৷ এই স্কিমটি একটি বিশেষ সময়সীমার জন্য খোলা হবে৷

জানা গিয়েছে, স্কিম শেষ হওয়ার পরে নির্দিষ্ট মাত্রার উপরে যদি কারওর কাছে সোনা থাকে (unaccounted gold) তাহলে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে৷ ইতিমধ্যেই নাকি এই স্কিমের একটি ড্রাফটও তৈরি করে ফেলেছে অর্থ মন্ত্রক। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন থাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই স্কিম নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তবে এবার খুব শিগগির এতে সিলমোহর পড়তে চলেছে। তাই অন্থমন্ত্রকের পাঠানো স্কিমের ড্রাফটের অনুমোদন আপাতত ঝুলেই রয়েছে। আরও পড়ুন-Pehlu Khan Lynching Case: পেহলু খান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গরু পাচারের মামলা খারিজ করল রাজস্থান হাই কোর্ট

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশের মধ্যবিত্ত সমাজের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সবাই রেগেমেগে বলছে, নোটবন্দি করে মধ্যবিত্ত গৃহিনীর জমানো টাকাকে বেওয়ারিশ বানিয়ে ছেড়েছিল প্রথম মোদি সরকার। এবার দ্বিতীয় মোদি সরকার গৃহিনীদের গয়নার দিকে নজর দিয়েছে। বড় লোকরা ফের গয়না নিয়ে বিদেশে পালাবে আর কালো টাকা উদ্ধারের নামে মধ্যবিত্তের ঘর উজাড় করবে সরকার। এই নিয়েই ক্ষোভ দানা বাঁধছে বিভিন্ন মহলে। নতুন অ্যামনেস্টি স্কিমের নিয়মে কিনতে হবে সোনা। সোনা কেনার রসিদ অবশ্যই থাকতে হবে। তবে সোনা ঠিক কতাট রাখতে পারবেন তা নির্ধারণ করে দেবে ওই স্কিম। সেই মাপকাঠি টপকে গেলেই দিতে হবে কর। যদি সোনা কেনার রসিদ না থাকে তাহলে দিতে হবে জরিমানা। আর জরিমানার পরিমাণ কর বাবদ টাকার অংকের থেকেও বেশি।