Delhi Shocker: নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করে তড়িঘড়ি সৎকার, দিল্লিতে পুলিশের জালে পুরোহিত-সহ ৩ শ্মশানকর্মী
প্রতীকী ছবি (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ৩ জুলাই: নাবালিকাকে (Minor Girl) গণধর্ষণের পর খুনের অপরাধে এক পুরোহিত ও শ্মশানের ৩ কর্মী৷ এখানেই শেষ নয়, নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে ধৃতরা বাবা-মা, বা পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি নাবালিকার মরদেহ সৎকার করে ফেলে৷ দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ওই শ্মশানের সামনেই বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত নাবালিকা৷ গত রবিবার সন্ধ্যায় শ্মশানের ওয়াটার কুলার থেকে ঠান্ডা জল আনতে গিয়েছিল নাবালিকা৷ তারপর তাকে আর জীবিত দেখেননি হতভাগ্য মা৷ অনেক্ষণ পরে শিশুকন্যার মাকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্তরা৷ নাবালিকার মরদেহ দেখিয়ে বলে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে৷ আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ৩০ হাজারের উপরে দৈনিক সংক্রমণ, জাঁকিয়ে বসছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা

এই প্রসঙ্গে ডিসিপি ইঙ্গিত প্রতাপ সিং জানান, “পুরোহিত-সহ চার জন নাবালিকার মাকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পুলিশকে জানাতে নিষেধ করে৷ তাদের যুক্তি, পুলিশ মৃত্যুর মামলা দায়ের করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেবে৷ সেখানে ময়নাতদন্ত চলাকালীন চিকিৎসকরা নাবালিকার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেবে৷ তাই তড়িঘড়ি তার সৎকার করে দেয় ওই চারজন৷” আচমকা গোটা ব্যাপারটা ঘটে যাওয়ায় নাবালিকার মায়ের সন্দেহ হয়৷ রবিবার রাতেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী শ্মশানে পৌঁছে ওই চারজনের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পুরোহিত রাধেশ্যাম, শ্মশান কর্মী সালিম, লক্ষ্মীনারায়ণ ও কুলদীপকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন, এসটি এসসি আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬ ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷ বলাবাহুল্যে হত্যাকারীদের প্রত্যেককেই চেনেন নাবালিকার মা৷