(Photo Credits: IANS)

নয়াদিল্লি, ১৫ এপ্রিল: বেড়েছে লকডাউনের সময়সীমা। আগামী ৩ মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন। দ্বিতীয় লকডাউনের ক্ষেত্রেও একটি নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস অর্থাৎ কৃষিকাজ, মাছ চাষ, পশুপালন এবং এমএনরেগা কাজের উপরও পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোবিদ-১৯-র জন্য যে এলাকাগুলিকে এখনও হটস্পট করা হয়নি, সেই এলাকাগুলিতে নিয়ম অনেকটাই শিথীল করা হয়েছে।

কী কী বন্ধ রাখা হয়েছে?

১. জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ, শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে

২. জরুরি পরিষেবা ছাড়া সাধারণ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন না

৩. সাধারণের যাতায়াতের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ

৪. বন্ধ মেট্রো রেল পরিষেবা

৫. চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজন ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলা এবং রাজ্যে যাতায়াত করা নিষিদ্ধ

৬. স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

৭. বিশেষ অনুমতি ছাড়া সমস্ত বাণিজ্য এবং শিল্প সংক্রান্ত অফিস, কলকারখানা বন্ধ থাকবে

৮. বিশেষ অনুমতি ছাড়া স্বাস্থ্যক্ষেত্রের পরিষেবাও বন্ধ

৯. ট্যাক্সি, অনলাইন ক্যাব পরিষেবা বন্ধ

১০. সিনেমা হল, শপিং মল, জিম, সুইমিং পুল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বন্ধ থাকবে

১১. সামাজিক, রাজনৈতিক, স্পোর্টস, বিনোদন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান-সহ যেকোনও জমায়েত নিষিদ্ধ

১২. সাধারণ মানুষের জন্য সমস্ত ধর্মীয় স্থান বন্ধ, নিষিদ্ধ জমায়েতও

১৩. সৎকারের কাজে শুধুমাত্র জমায়েত করা যাবে, তবে ২০ জনের বেশি নয়

কন্টাইমেন্ট জোন এবং হটস্পটের ক্ষেত্রে তৈরি নীতি-নির্দেশিকা:

১. কড়া নজরে রাখা হবে এই এলাকাগুলিকে

২. জরুরি পরিষেবা ছাড়া কেউ এই এলাকা থেকে বেরোনো কিংবা প্রবেশ নিষিদ্ধ।

৩. মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

কী পরিষেবা চালু থাকবে:

১. হাসপাতাল, নার্সিং হোম, ক্লিনিক্স, টেলিমেডিসিন পরিষেবা।

২. জন ওষুধি কেন্দ্র-সহ ওষুধের দোকান খোলা থাকবে।

৩. ডিসপেন্সারি, মেডিকেল ল্যাব এবং কালেকশন সেন্টার খোলা থাকবে।

৪. খোলা থাকবে ফার্মাকিউটিক্যাল এবং মেডিকেল রিসার্চ ল্যাব বিশেষত যে গবেষণাগারে কোবিদ-১৯ সংক্রান্ত গবেষণা চলছে।

৫. পশু হাসপাতাল, ডিসপেন্সারি, ক্লিনিক্স, প্যাথোলজি ল্যাব, ভ্যাক্সিন এবং ওষুধ বিক্রি এবং সরবরাহ।

৬. মেডিকেল এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত যেকোনও কাজ চালু থাকবে,  মেডিকেল যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী কলকারখানাও খোলা যাবে।

৭. চিকিৎসক, নার্স, গবেষক, প্যারা মেডিকেল স্টাফেরা প্রয়োজনে এ রাজ্য থেকে অপর রাজ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।

৮. তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা চালু থাকবে, কয়লা উৎপাদন, তেল ও মিনারেল প্রস্তুতকারী ইউনিটগুলিকেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।

৯. দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে।

 

কৃষিতে ছাড়:

কৃষিকাজে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হয়েছে।

যে সমস্ত সংস্থা কৃষিপণ্য সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত।

মাছ চাষের উপরও ছাড় দেওয়া হয়েছে পুরোপুরি।

সোশ্যাল সেক্টরে ছাড়:

অঙ্গনওয়ারির কাজ সচল থাকবে।

বয়স্ক, বিধবা, শিশুদের জন্য বাড়ি বাড়ি যারা কাজ করেন, তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে।

অনলাইন শিক্ষাতে ছাড়:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

অনলাইন ক্লাস মারফত দূরশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

দুরদর্শন-সহ অন্যান্য শিক্ষামূলক চ্যানেলগুলিতে ক্লাস নেওয়া হবে।

MNREGA-তে ছাড়

এই কাজের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছ তবে মাস্ক বাধ্যতামূলক।

জল সংরক্ষণের কাজ এবং সাধারণ পরিষেবা দেওয়ার কেন্দ্র খোলা রাখা হবে।

এছাড়া ব্যাঙ্ক, এটিএম, গ্যাস, কেরোসিন, পেট্রোল, এলপিজির পরিষেবা বন্ধ করা হবে না। পাশাপাশি চা, কফি তৈরি, রাবার প্ল্যান্ট, প্যাকেজিং এবং বিক্রির কাজও চলবে। তবে বেশি লোকের জমায়েত রুখতে এক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মীকে দিয়ে কাজ করাতে হবে।