শ্রীনগর, ২০ ডিসেম্বর: স্বর্ণ মন্দিরে ধর্মীয় অবমাননার ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ করুক সরকার। এই দাবিতে রবিবার বিক্ষোভ দেখাল শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, "এটা প্রথম কোনও ঘটনা নয়। দেশজুড়ে এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। স্বর্ণমন্দিরে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে শিখ বিরোধী সংগঠন।" আরও পড়ুন-Winter In West Bengal: হাড় কাঁপানো উত্তুরে হাওয়ায় আজ মরশুমের শীতলতম দিন
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে ধর্মীয় অবমাননার চেষ্টার অভিযোগ এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয় ক্ষিপ্ত পুণ্যার্থীরা। গণ ধোলাইয়ের জেরে অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে সান্ধ্যকালীন প্রার্থনার সময়। যখন অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বর্ণমন্দিরের অন্দরে লোহার রেলিঙে ঘেরা গুরু গ্রন্থসাহিবের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। তার হাতে ছিল তরোয়াল। তা দিয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের সমূহ ক্ষতিসাধনের চেষ্টায় ছিল অভিযুক্ত। তবে তার আগেই প্রার্থনায় অংশ নেওয়া পুণ্যার্থীরা তাকে ধরে ফেলেন। এরপর ক্ষিপ্ত পুণ্যার্থীর গণধোলাই খেয়ে মৃত্যু হয় ওই অজ্ঞাপরিচয় অভিযুক্তের।
নিশান সাবিহের অবমাননাকারী ব্যক্তিকে পেটাচ্ছে ক্ষিপ্ত জনতা। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পরে ধৃকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উত্তপ্ত জনতার বেসিরভাগেরই দাবি ছিল, অভিযুক্তকে পুলিশ যেন তাদের সামনেই জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে গণপ্রহারের জের সহ্য হয়নি, অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে।