
দিল্লি, ১০ জুন: রাজা রঘুবংশীকে (Raja Raghuwanshi) খুনের পরিকল্পনা করেছিল সোনম। বিয়ের ৩ দিন পর থেকে সোনম স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করে। সূত্রের তরফে মিলছে এমনই খবর। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর রাজা রঘুবংশী যাতে সোনমের (Sonam Raghuwanshi) কাছে যেতে না পারেন, তার ব্যবস্থা করে ইন্দোরের ওই খুনি তরুণী। এমনকী বিয়ের পর সোনম প্রেমিক রাজ কুশওয়ার সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ এবং মেসেজের বিনিময়ে যোগাযোগ করে এবং জানায়, সে কোনওভাবে রাজা রঘুবংশীকে নিজের কাছে যেতে দিচ্ছে না।
রবিবার রাতে সোনম রঘুবংশীকে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজ়িপুর (Gazipur) থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোনম গাজ়িপুরের ওই ধাবায় গিয়ে কাঁদতে শুরু করে এবং সেখানকার মালিকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নেয়। এরপর যোগাযোগ করে ইন্দোরে দাদার সঙ্গে। পুলিশ এরপর সোনম রঘুবংশীকে গাজ়িপুরের কাশি ধাবা থেকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: Sonam Raghuwanshi-Raja Raghuwanshi: 'রাজাকে অপহরণ করেছি কিন্তু মারিনি', পুলিশের তাড়ায় কী জানাল সোনম
জানা যায়, খুনের আগে সোনম রঘুবংশী রাজ কুশওয়াকে মেসেজ করে। এরপর রাজা রঘুবংশীকে খুনের পরিকল্পনা প্রেমিক রাজকে জানায়। ফলে মণিপুরে যাওয়ার পর রাজা রঘুবংশীকে নিয়ে মেঘালয়ের সোহরা গ্রামে যায় ইন্দোরের তরুণী। তারপরই নৃশংসভাবে রাজা রঘুবংশীকে গ্রেফতার করে।
গত ১০ মে ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিয়ে হয় সোনম রঘুবংশীর। বিয়ের পর ২১ মে সোনম এবং রাজা মেঘালয়ে (Meghalaya Murder) পাড়ি দেয়। সোনমের পরিকল্পনা পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজা রঘুবংশীকে খুন করে রাজ কুশওয়া এবং তার ৩ সঙ্গী। খুনের পর রাজ কুশওয়ারা পালিয়ে যায় ইন্দোরে। অন্যদিকে সোনম মেঘালয় থেকে পালায় অসমে। তারপর সেখান থেকে চলে যায় উত্তরপ্রদেশে।
গত ২ জুন রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় মেঘালয়ের পাহাড় থেকে। পাহাড়ের গর্ত থেকে রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। রাজার হাতের হিরের ব্রেসলেট দেখে তাঁকে সনাক্ত করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় তদন্ত এবং তল্লাশি। অবশেষে রাজার খুনের পর সোনমকে উত্তরপ্রদেশ থেকে পাকড়াও করে পুলিশ।