নয়া দিল্লি, ২৭ ডিসেম্বরঃ চোখের জলে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে বিদায় জানাচ্ছে গোটা ভারতবাসী। ৯২ বছরে জীবনে প্রদীপ নিভে গেল। বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। শনিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। মনমোহন সিংহকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার দিল্লির বাড়িতে আনা হয়েছে তাঁর মরদেহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা, শাসক এবং বিরোধী দলের সকল নেতা একে একে শেষবার বিদায় জানাতে আসছেন দিল্লির মতিলাল নেহরু মার্গে মনমোহনের বাড়িতে। দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে সুদূর কলকাতায় বসে চোখের জল ফেলছেন বোন গোবিন্দ কৌর (Gobind Kaur)। বার্ধক্যের কারণে তিনি যেতে পারেননি দিল্লিতে।
দাদা মনমোহন সিংহের প্রয়াণে কলকাতায় বসে চোখের জক ফেলছেন বোন...
সূত্রের খবর, মনমোহন সিংহয়ের বোন গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবার থাকেন কলকাতায়। বোনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। মনমোহন ভাগ্নে গুরদ্বীপ সিংহ জানান, মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ফোনে কথা হত মামার। মারা যাওয়ার দিন কয়েক আগেও ফোন করে বোনের খবর নিয়েছিলেন তিনি। গুরদ্বীপের কথায়, মামা একেবারেই 'ফ্যামিলিম্যান' ছিলেন। তিনি আরও জানান, তাঁর মা গোবিন্দ দাদাকে ডাকতেন পাপাজি বলে। কিন্তু পাপাজির প্রয়াণের খবর কানে এলেও শেষ দেখা দেখতে পেলেন না তিনি। ঘরে বসেই ফেলতে হচ্ছে চোখের জল। তবে বয়সের কারণে মনমোহনের শেষকৃত্যে গোবিন্দ যেতে না পারলেও তাঁর পরিবার ইতিমধ্যেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেল।
আরও পড়ুনঃ মনমোহন সিংহের প্রয়াণে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা, শনিতে শেষকৃত্যের আগেই আমেরিকা থেকে উড়ে আসছেন মেয়ে
দাদার মৃত্যু খবরে কলকাতার বাড়িতে বসে বোনের চোখে জল...
দেশ, অর্থনীতির মত গুরুদায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে মনমোহন ছিলেন আদ্যোপান্ত একজন পারিবারিক মানুষ। বোন এবং বোনের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন মনমোহন সিংহ। পড়াশুনার সে উপকারিতা তা সব সময় ছোটদের উৎসাহ জাগাতেন।