Lalu Prasad Yadav with his daughter Rohini Acharya. (Photo Credits: X)

দুই পুত্রের পর এবার রাজনীতির ময়দানে এবার লালু-কন্যা! গত বছর ডিসেম্বরে বিহার রাজনীতির সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ লালুপ্রসাদ যাদবের কিডনি প্রতিস্থাপনের খবর শুনে চমকে উঠেছিল দেশ। লালুকে কিডনি দান করে বাঁচিয়ে ছিলেন তাঁর কন্যা রোহিনী আচার্য। লালুর সেই কন্যা রোহিনী এবার লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন। সব ঠিকঠাক চললে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে আরজেডি-র টিকিটে রোহতাস জেলার কারাকাত আসন থেকে লড়তে পারেন। সম্প্রতি রোহিনী রোহতাসের তাঁর শ্বশুর রণবিজয় সিংয়ের এক শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে গেলে সেখানের স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে ধরে ভোটে দাঁড়ানোর আবেদন করেন। রোহিত তাঁদের আশ্বাস দিয়ে জানান, তার বাবা লালুপ্রসাদ যাদব ও মা রাবড়ি দেবীর দেখানো পথে তিনি ভোটে লড়ে কারাকাতের মানুষদের উন্নয়ন করতে প্রস্তুত।

এই আসনে গত লোকসভায় জিতে সাংসদ হন জনতা দল ইউনাইটেডের মহাবালী সিং। এবার আরজেডি, কংগ্রেসের মহাজোটের সঙ্গী নীতীশ কুমারের জেডি (ইউ)। জেডি (ইউ) ছাড়তে রাজি হলে লালুর মেয়ে রোহিনী এখান থেকে লোকসভা ভোটে লড়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি রয়েছে বলে স্থানীয় আরজেডি নেতাদের দাবি। ২০১৪ লোকসভায় কারাকাত লোকসভা থেকে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন উপেন্দ্র উপেন্দ্র কুশওয়াহা। এর আগে লালুর বড় মেয়ে মিসা যাদব পাটলিপুত্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়েছিলেন।

দেখুন খবরটি

লালুর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব এখন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। লালুর বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদব বিহারের নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলান। লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী তাঁর অনুপস্থিতিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। লালুর শ্যালক সাধু যাদবও বিহার রাজনীতির দাপুটে নাম। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিতে লালুকে টেক্কা দেওয়া কঠিন।