থ্রিসুর, ২৯ মার্চ: লকডাউনের জেরে মদ না পেয়ে অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করল দুই মদ্যপ (Tippler)। কেরালার (Kerala) ঘটনা। মৃতদের নাম সুনেশ (৩২) ও নউফল (৩৪)। জানা গেছে, থ্রিসুর জেলার কোদুনগালুরের বাসিন্দা সুনেশ নদীত ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে নউফল দাঁড়ি কাটার লোশন খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকালও ৩৮ বছরের এক দিনমজুর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। বাড়ির কাছে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এনিয়ে কেরালায় মদ না পেয়ে ৫ জন আত্মহত্যা করল।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুনেশ মদ না পাওয়া নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং অবসাদে ভুগছিলেন। তিনি গভীর রাতে বাড়ি থেকে চলে যান ও নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁর দেহ থ্রিসুর জেলার ইরিঞ্জালাকুদা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।" অন্যদিকে, এক বছর আগে বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরে নিয়মিত মদ্যপান করতেন নউফল। লকডাউনর কারণে মদ পান না করতে পেরে তিনিও হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর লোশন পান করেন। আরও পড়ুন: No Blanket Ban on Alcohol: পরপর আত্মহত্যা! উঠল মদ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা, প্রেসক্রিপশন দেখে অল্প পরিমানে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল সরকার
এদিকে সমস্যা বাড়তে থাকায় আজ কেরালা সরকার জানিয়েছে, যারা প্রবলভাবে মদে আসক্ত তাদের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন (Lockdown) থাকা সত্বেও চিকিত্সকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ন্যূনতম মদ সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, "সরকার আত্মহত্যা এড়াতে বেশি মদ্যপায়ীদের ন্যূনতম মদ সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে। রাজ্য সরকার আবগারি বিভাগকে লকডাউনে মদ আসক্তদের মদ সরবরাহ করার পদ্ধতির পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"এদিকে লকডাউনের পরে ২৫ জনেরও বেশি মানুষকে নেশা-মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। রাজ্যে প্রায় ১ কোটি অ্যালকোহলিক রয়েছে যারা নিয়মিত মদ পান করে। তাদের মধ্যে, ৪৫ শতাংশ প্রবল অ্যালকোহলিক। এর আগে, মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজ বিজ্ঞানীরা যখন বিরোধী দল এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যের সমস্ত মদ দোকান বন্ধ করার দাবি করেছিল তখন সরকারকে এই সঙ্কট সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিল।