Representational Image (Photo Credit: File Photo)

দিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি: দেখতে ভাল না, কেন চাকরি পাচ্ছে না, এমন কথা বলে প্রথমে অত্যাচার এবং পরে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী (Husband)। জামাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল পরিবার। প্রবীণ এবং বিষ্ণুজা নামে কেরলের (Kerala) মালাপুরমের ২ তরুণ, তরুণীর বিয়ে (Wedding) হয় ২০২৩ সালে। বিয়ের পর থেকেই বিষ্ণুজার উপর প্রবীণ অত্যাচার করত বলে জানা যায়। বিষ্ণুজাকে দেখতে ভাল না, তাই তাঁকে বাইকে তার সঙ্গে নেওয়া যায় ন। এমন কথা প্রবীণ প্রয়শয়ই বলত। পাশাপাশি বিষ্ণুজা কেন চাকরি করেন না, তা নিয়ে ছিল প্রবীণের একাধিক প্রশ্ন। ফলে বিষ্ণুজাকে টানা মারধর করত প্রবীণ। মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিষ্ণুজাকে অত্যাচার করত প্রবীণ। শেষ পর্যন্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষ্ণজাকে কি আত্মহত্যা করলেন না তাঁকে প্রবীণ খুন করল, তা নিয়ে পুলিশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: Sex And Murder: সেক্স ক্লিপিংস দেখিয়ে কুকীর্তি, উদ্দাম যৌনতার মাঝে সঙ্গীর নাক, মুখ চেপে ধরে খুন করল মহিলা

বিষ্ণুজার বাবার কথায়, মেয়ে তাঁকে বা পরিবরের কাউকে কোনওদিন প্রবীণের অত্যাচারের বিষয়ে জানতে দেননি। বিষ্ণুজা খুব রোগা ছিল। ফলে প্রবীণ প্রায়ই তাঁকে মানসিকভাবে অত্যাচার করত। বিষ্ণুজা বারবার পরীক্ষা দিয়েও কোনও চাকরি পাননি। ফলে প্রবীণের অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। বাবা, মা আন্দাজ করতে পেরে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেও, বিষ্ণুজা এড়িয়ে যেতেন। প্রবীণের  অত্যাচারের বিষয়ে পরিবারকে কোনও সময় কিছু জানতে দেননি। ফলে অকালে তাঁর মেয়ের প্রাণ গেল বলে আক্ষপ করতে থাকেন বিষ্ণুজার বাবা। এমনকী ঘরে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য মহিলাদের সঙ্গে প্রবীণের সম্পর্ক রয়েছে বলে তাঁরা জানতে পারেন। পুলিশ জানান মৃতের বাবা।

বিষ্ণুজা অত্যাচা সহ্য করতে না পেরে, এক সময় তাঁর প্রিয় বান্ধবীকে সব বলা শুরু করেন। বিষ্ণুজা যাতে বাড়িতে ফিরে যান, তাঁকে বার বার সেই পরামর্শ দেন বন্ধু। তবে বন্ধুর কথা বিষ্ণুজা শোনেননি। বিষ্ণুজা যাতে কারও সঙ্গে প্রবীণের কুকীর্তির কথা শেয়ার করতে না পারেন, তার জন্য প্রবীণ স্ত্রীর হোয়াটস অ্যাপে আঁড়ি পাতত। নিজের হোয়াটস  অ্যাপের সঙ্গে বিষ্ণুজার চ্যাটের সংযোগ করিয়ে রাখত। ফলে তিনি কখনও বিষ্ণুজার সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে মন খুলে কথা বলতে পারতেনা না। পরে তিনি বিষ্ণুজার সঙ্গে টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন এবং কথা বলতেন বলে মৃতের বান্ধবী জানান।

দিনের পর দিন ধরে প্রবীণের অত্যাচারের কথা শুনে শিউরে উঠতেন বিষ্ণুজার বান্ধবী। ফল বিষ্ণুজা যাতে বাড়িতে ফিরে যান, সেই কাকুতি মিনতি বান্ধী অনেকবার করেন। কিন্তু তাতে শেষ পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি। প্রবীণের অত্যাচারে অকালেই প্রাণ যায় বিষ্ণুজা নামে ওই তরুণীর।