গরুর মাংসের প্রতীকী ছবি(Photo Credits: Pixabay)

তিরুবনন্তপুরম, ১৭ ফেব্রুয়ারি: কেরালা পুলিশে (Kerala Police) চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণ নিয়েই বাধল গোল। কেরালা পুলিশের প্রশিক্ষণ শিবিরের ক্যান্টিনের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ গেল গরুর মাংস (Remove Beef From Menu)। এতদিন কিন্তু তা বাদের খাতায় ছিল না। হঠাৎ করে কেন বাদ গেল তানিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একদল মনে করছেন, দেশজুড়ে প্রখর হিন্দুত্ববাদের ধ্বজাকে বাড়তে দিতে চায় না কেরালা সরকার। তাই এই নিয়ম বলবৎ করেছে। যদিও পুলিশ মহলের একাংশের মধ্যে এই নতুন খাদ্য তালিকা নিয়ে ক্ষোভ জন্মেছে। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, খাদ্যতালিকাতে গো-মাংস না থাকলেও কিন্তু তা নিষিদ্ধ নয়। এখনও পর্যন্ত গোরুর মাংস এড়িয়ে চলা সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।

তথ্য যা বলছে, তাতে পুলিশ প্রশিক্ষণ শিবিরের মেনু তৈরি করে দিয়েছেন কেরালার সরকারি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান। তিনিই মেনুর রদবদল ঘটিয়েছেন। এই নয়া মেনু নিয়ে কেরালা পুলিশের তরফে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। নেই কোনও ব্যাখ্যাও। যদিও আগের বার পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণ চলাকালীন খাদ্য তালিকায় গরুর মাংসের উপস্থিতি ছিল। আরও পড়ুন-PM Narendra Modi Congratulates Arvind Kejriwal: শপথের পর প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা, পাল্টা ধন্যবাদ দিতে ভুললেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী

গত বছর আগস্টে কনস্যুলেট জেনারেলের তরফে এক খাদ্য উৎসবের আয়োজন হয়। সেখানেই একই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। যেখানে কেরালা সামাজাম ফ্রাঙ্কফুর্ট নামের একটি মালয়লি সংস্থাকে খাদ্য উৎসবের তালিকা থেকে গরুর মাংস বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়।আয়োজক সংস্থার অনুরোধে খাদ্য তালিকা থেকে সেবার গরুর মাংস বাদ যদিও দিয়ে দিয়েছিল কেরালা সামাজাম। তবে খাদ্য উৎসবের কয়েকদিন ধরে সংস্থার তরফে একটা মৌন প্রতিবাদ চলেছিল। চলতি বছরে কেরালা পর্যটেনর তরফে ত্রাভাঙ্কর এলাকার একটি জনপ্রিয় মাংসের পদের রেসিপি শেয়ার করা হয়। রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের তরফে সেই রেসিপিটি টুইটারে শেযার করা হলে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।