বেঙ্গালুরু, ২৩ জুলাই: Karnataka Trust Vote Today। দীর্ঘ নাটকের পরও গতকাল, সোমবার কর্নাটক বিধানসভায় আস্থা ভোট করানো যায়নি। তবে আজ আস্থা ভোট করতেই হবে। আস্থাভোটের চূড়ান্ত সময়সীমা বাড়িয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা করে দিলেন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার (K R Ramesh Kumar)।
সংখ্যার যা অবস্থা তাতে মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী-র আস্থা ভোটে হার অনেকটাই নিশ্চিত। এই কারণেই নাকি স্পিকার ইচ্ছা করে যতটা বেশি সময় নিয়ে আস্থা ভোট করাতে চাইছেন, এমনই অভিযোগ বিজেপি-র। আরও পড়ুন-টিক টকে মারাত্মক যা কাণ্ড ঘটল
সরকার পক্ষের বিধায়করা ইচ্ছাকৃত দেরি করে আস্থাভোটে বাধা দিচ্ছেন, এই অভিযোগে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়কদের নাগাড়ে স্লোগান, ব্যাপক হইচইয়ের ফলে বিধানসভার কাজকর্ম বেশ কিছু ক্ষণের জন্য স্থগিত রাখা হয়।
সংখ্যার কী অবস্থা
২২৪ সদস্যের কর্নাটক বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩ (টাই থাকা অবস্থায় স্পিকারের ভোটাধিকার ছাড়া)। রাজ্যের শাসক দলের ১৫ জন বিধায়কের ইস্তফার আগে সংখ্য়াটা ছিল এমন- কংগ্রেস: ৮০, জেডি (এস):৩৭, বিএসপি: ১ মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পক্ষে সংখ্যাটা ছিল ১১৭। বিজেপি-র সেখানে ছিল নিজেদের ১০৫ জন ও দু নির্দল বিধায়কের সমর্থন। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের পদত্যাগের পর বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ২১০-এ নেমে এসেছে, আর তাতে ম্যাজিক ফিগার হয়ে গিয়েছে ১০৬।
কংগ্রেস-জেডি (এস) সরকারের পক্ষে এখন ১০৩ বিধায়কের সমর্থন। তার মধ্যে আবার দুই কংগ্রেস বিধায়ক হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আস্তা ভোটে আসতে পারবেন না বলে কুমারস্বামীর সংখ্যা এখন মাত্র ১০১ গিয়ে ঠেকেছে। ফলে বিক্ষুব্ধ বিধায়করা পদত্যাগপত্র তুলে না নিলে কুমারস্বামীর আস্থা ভোটে হার নিশ্চিত। আর এককভাবে রাজ্যের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে বিজেপি-কে সরকারের গড়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
কীভাবে বিজেপি-কে সরকার গড়া থেকে আটকাতে পারে কংগ্রেস
যদি কংগ্রেস সরকার ট্য়াকটিক্য়াল কারণে কুমারস্বামীর সরকরা থেকে সরে দাঁড়ায়, আর কংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করা হয়, তাহলে কর্নাটক বিধানসভার ম্য়াজিক ফিগার ১১৩-থাকবে। সেক্ষেত্রে বিজেপি সংখ্য়া জোগাড় করতে পারবে না। ত্রিশঙ্কু সরকারের কারণে ফের ভোট হবে।