মেঙ্গালুরু, ৫ সেপ্টেম্বর: ধর্ষিতার (Rape Survivors) সন্তান বিক্রি হয়ে গেল। ৪.৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে গেল ধর্ষিতার সন্তান। যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। ৪.৫ লক্ষ টাকায় ধর্ষিতার সন্তান বিক্রি হতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় শিশু সুরক্ষা দফতরের তরফে। যার তদন্তে নেমে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে এক চিকিৎসকও রয়েছেন বলে খবর। যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে, তাদের মধ্যে ওই চিকিৎসক (Doctor) কী করে জড়ালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত ২১ অগাস্ট উদুপির ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যখন কর্ণাটকের শিশু সুরক্ষা দফতরের অফিসার থানায় যান। উদুপির শিভরা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেখানে জানানো হয়, মেঙ্গালুরুর ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে একটি সদ্যোজাতর কোনও খোঁজ মিলছে না।
পুলিশ জানতে পারে, মেঙ্গালুরুর বাসিন্দা স্থানীয় প্রভাবতী এবং তাঁর স্বামী রমেশ মুলিয়ার কোনও সন্তান নেই। বেশ কয়েক বছর বিয়ের পরও প্রভাবতী এবং রমেশ সন্তানের মুখ দেখেননি। ফলে মেঙ্গালুরুর হাসপাতাল থেকে তাঁরা এক সদ্য়োজাতকে নিজেদের কাছে আনেন। ৪.৫ লক্ষ টাকায় ওই সদ্যোজাতকে সংশ্লিষ্ট দম্পতি নিজেদের কাছে নিয়ে যান বলে পুলিশ জানতে পারে। এরপরই পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে।
জানা যায়, মানসিকভাবে সুস্থ নন ২২ বছরের তরুণী সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে যায়। এরপর ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, তাঁর সন্তানকে বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সদ্যোজাতকে বিক্রি করে ওই তরুণীকে উপযুক্ত চিকিৎসা ছাড়াই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যে ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে উদুপি জুড়ে।