বেঙ্গালুরু, ১৭ মার্চ: আগেই দুজনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর দিয়েছে কর্ণাটক রাজ্য প্রশাসন। এই দুজনের মধ্যে একজন হলেন ৬৩ বছরের চিকিৎসক (Karnataka doctor)। যিনি নিজে ৭৬ বছরের সেই বৃদ্ধের চিকিৎসা করেছিলেন। যিনি গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসের গ্রাসে প্রাণ হারিয়েছেন। গোটা পরিবার নিয়ে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে আছেন ওই চিকিৎসক। আজ তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। অন্য আক্রান্ত বছর একুশের তরুণী। তিনি বেশ কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন। আজকের দুজনকে ধরে কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাল দশে। এভাবে করোনার সংক্রমণের প্রকটতা দেখে গত সপ্তাহেই কর্ণাটক প্রশাসন রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, পাব, জিম, শপিংমল, সিনেমা হল, পাবের মতো জনবহুল জায়গা আপাতত বন্ধ রেখেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুসারে মঙ্গলবার ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখা ১২৫ ছুঁয়েছে। করোনা জ্জরিত রাজ্যগুলির মধ্যে আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯। যারমধ্যে তিনজন আবার বিদেশি। এরপরেই আসছে কেরালার নাম যেখানে কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা ২২। সোমবার গুরুগ্রামের এক তরুণীর শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হরিয়ানায় সমস্ত রকম জমায়েত বন্ধ। স্কুল, নাইট ক্লাব, সিনেমাহল, শপিংমল, জিমে তালা পড়েছে। রাজ্যসরকারি কর্মীদের বায়োমেট্রিক উপস্থিতির প্রমাণ দিতে হবে না, জানিয়েছে হরিয়ানা প্রশাসন। আরও পড়ুন- Spanish Football Coach Dies Due To Coronavirus: করোনার থাবা কাড়ল প্রাণ, প্রয়াত বছর একুশের ফুটবল কোচ ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া
Sharat B, Deputy Commissioner, Kalaburagi: A 63-year-old doctor who treated the 76-yr-old man who died due to #Coronavirus, has tested positive. He along with his family has been kept in quarantine at his home. He will be sent to isolation ward today. #Karnataka
— ANI (@ANI) March 17, 2020
এদিকে করোনার থাবায় প্রাণ হারালেন স্পেনের ২১ বছর বয়সী ফুটবল কোচ (Spanish Football Coach)। মারণ ভাইরাসের পাশাপাশি লিকোমিয়ায় ভুগছিলেন কোচ ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া। তিনি স্পেনের মালাগার অ্যাথলেটিকো পোর্তাদা আলটার ফুটবল কোচ। বয়স কম হওয়ার কারণে, সবাই ধরে নিয়েছিল করোনার সঙ্গে লড়াই করে টিকে যাবেন গার্সিয়া। কিন্তু হাসাপাতালে আনার পর দেখা গেলো তিনি লিউকোমিয়ায়ও আক্রান্ত। এরপর ডাক্তাররা অনেক চেষ্টার পরও রক্ষা করতে পারলেন না তাঁর জীবন। চিকিৎসকদের দাবি, লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত না হলে হয়তো বেঁচে যেতেন গার্সিয়া। এরপরেই করোনা আতঙ্ক আরও চেপে বসেছে মানুষের মনে। তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ফ্রান্সিসকো সবথেকে কম বয়সী।