বেঙ্গালুরু, ২২ এপ্রিল: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ফ্রন্টফুটে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসকে চিন্তায় রাখছে রাজ্যের দুই শীর্ষ নেতা সিদ্দারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমারের মধ্যে দ্বন্দ্ব। আসলে কংগ্রেস এবার কর্ণাটকে ক্ষমতায় এলে দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে জোরালো দাবি জানাবেন। ঠিক যেমনটা কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে বারবার ঘটছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। রাজস্থানে অশোক গেহলেট বনাম সচিন পাইলট, মধ্যপ্রদেশে ছিল কমলনাথ বনাম জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, পঞ্জাবে ছিল অমরিন্দর সিং বনাম সিধু। তাদের মধ্যে এই দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। রাজস্থানেও গেহলট বনাম পাইলট দ্বন্দ্বে একেবারে কোণঠাসা কংগ্রেস। এবার কর্ণাটকে ভাল জায়গায় থেকেও শিবকুমার বনাম সিদ্দারামাইয়া দ্বন্দ্ব চিন্তায় রাখছে কংগ্রেসকে।

কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার রাজ্যে দলীয় কর্মীদের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয়। বিজেপিকে দারুণ টক্কর দিয়ে শিবকুমার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন। অন্যদিকে, অভিজ্ঞ সিদ্দিরামাইয়া, যনি বর্তমানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা, আগে রাজ্যের মসনদে বসেছেন,পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ।  কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ের দু জনেই একেবারে ৫০:৫০ জায়গায় দাঁড়িয়ে। তবে কংগ্রেস হাইকমান্ড ভোটের ফল বের হওয়ার আগে কোনও কিছুতেই বলতে নারাজ।

দেখুন ছবিতে

কংগ্রেসের এখন একটাই চিন্তা শিবকুমার বনাম সিদ্দারামাইয়া দ্বন্দের সুযোগটা যেন বিজেপি তুলে নিয়ে না যায়। একটা অনুষ্ঠানে শিবকুমার আর সিদ্দারামাইয়াকে একসঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুললেন। বোঝানোর চেষ্টা করলেন, অল ইজ ওয়েল। তবে সেটা কতটা অন্তর থেকে পরে বোঝা যাবে।

শিবকুমারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় কাঁটা তাঁর বিরুদ্ধে চলা ইডি, সিবিআইয়ের একগাদা মামলা। বছরখানেক আগে আয় বহির্ভূত মামলায় জেলও খেটেছেন শিবকুমার। সিদ্দারাইমায়কে এবার দুটো জায়গায় প্রার্থী না করে হাইকমান্ড বড় বার্তা দিয়েছে। তবে সে সব পরের কথা আগে কংগ্রেসকে জিততে হবে।