Photo Credits: ANI

বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP President) হিসেবে জগতপ্রকাশ নাড্ডা (Jagat Prakash Nadda)-র মেয়াদ বাড়ানো হল। রবিবার বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে নাড্ডার মেয়াদ চলতি বছর জুন পর্যন্ত বাড়়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন অমিত শাহ। ফলে খাতায় কলমে নাড্ডার নেতৃত্বেই বিজেপি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ২০১৯ সালে মোদী সরকারে অমিত শাহ মন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর জায়গায় জেপি নাড্ডা-কে বিজেপির এক নম্বর আসনে বসানো হয়। এক টানা পাঁচ বছর তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে জানুয়ারি পর্যন্ত নাড্ডার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

ভোট মিটে নতুন সরকারে এলে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে নতুন কাউকে আনা হয় কি না সেটাই দেখার। ভরসাযোগ্য নাড্ডার কাজে বেজায় খুশি মোদী-শাহ, একের পর এক নির্বাচনে সাফল্যও পাচ্ছে গেরুয়া ষিবির। তবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর ফল দেখে সংগঠনে বড় ঝাঁকুনি আনতে পারে বিজেপি, এমন একটা জল্পনা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে তৃতীয় মোদী সরকারের আমলে পদ্ম শিবিরের লক্ষ্য হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নতুন নেতা, তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনা।

অমিত শাহ বলেন, নাড্ডা-জির নেতৃত্বে লড়ে দেশজুড়ে বড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। শাহ জানান, নাড্ডার আমলে গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে বড় জয়, অসম, ত্রিপুরা গোয়া, উত্তরাখণ্ডে অনায়াসে ক্ষমতা ধরে রাখা, রাজস্থান-ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে সরিয়ে সরকারে আসা, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আসন অনেকটা বাড়ানো, বিহার ও মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র নিরঙ্কু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া। সবই নাড্ডার আমলে বিজেপি পায়।

নাড্ডা এদিন দলের সদস্যদের দেশজুড়ে বিজেপির ৩৭৫ ও এনডিএ-র ৪০০-র বেশী আসনে জেতা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমে পরিশ্রম করতে বলেন। নাড্ডা বলেন, বিজেপির পক্ষে ৩৭০ আসন জেতা কঠিন হবে না। তবে তার জন্য আমাদের বুথ ভিত্তিক সংগঠন আরও মজবুত করতে হবে। আমাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ঝাঁপাতে হবে।