Jharkhand Lynching Case: জোর করে ‘‌জয় শ্রীরাম’‌ বলিয়ে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা ঝাড়খণ্ডে
ঝাড়খন্ডে পিটিয়ে হত্যা( (Photo Credit: Md Asif Khan‏‎‎‎‎‎‎'s Twitter handle)

রাঁচি, ২৪ জুন, ২০১৯:  একেই সহিষ্ণুতা বলে দাবি করেছিল ভারত। গতকালই আমেরিকার দেওয়া ধর্মীয় সহিষ্ণুতার রিপোর্ট খারিজ করে দিয়ে দিল্লি দাবি করেছিল, ভারতে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা করা হয়। ঠিক তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ধর্মীয় সহিষ্ণতায় নজির তৈরি করল ঝাড়খণ্ড(Jharkhand)। চোর সন্দেহে মুসলিম যুবককে ১৮ ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পিটিয়ে জোর করে জয় শ্রীরাম বলানো হয়। পুলিস উদ্ধার করলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। হাসপাতালেই মারা যান ২৪ বছরের ওই যুবক।

ঘটনাটি যদিও ১৮ জুনের। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল ছেলেটি। ২৩ তারিখ রাতে আর বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাবরেজ নামে ওই যুবক। পুনেতে দিনমজুরের কাজ করতেন তাবরেজ। ঈদে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে তিনি গ্রামে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই তাঁর বিয়ের আয়োজন করেছিল পরিবার। এর পরে ১৮ জুন অন্য দুই পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে জামশেদপুর যাচ্ছিলেন তাবরেজ(Tabrej Ansari)। কিন্তু ওই দু’‌জনের উদ্দেশ্য জানতেন না তিনি। পরে যখন বুঝতে পারেন, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়, দুই ব্যক্তি সুযোগ বুঝে পালিয়ে গেলেও উন্মত্ত জনতা তাবরেজকে ধরে ফেলে। এর পরেই চলে বেধড়ক মার। আরও পড়ুন, দলের ‌৯৯.‌৯৯ শতাংশ নেতাই সৎ, ‘‌কাটমানি’‌ নিয়ে বিবৃতি দিল তৃণমূল কংগ্রেস

গোটা ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। একটি ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি তাবরেজকে একটি কাঠের লাঠি দিয়ে নৃশংস ভাবে পেটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। আক্রান্ত যুবক ছেড়ে দেওয়ার আকুতি নিয়ে হাত জোড় করলেও তাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। অন্য একটি ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, জোর করে তাবরেজকে বলানো হচ্ছে ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘জয় হনুমান’। ১৮ ঘণ্টা ধরে তবরেজকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পাপ্পু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।