সোমবার থেকেই  স্বাভাবিক হচ্ছে উপত্যকার ৪০ লক্ষ  পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা,  তবে অচলাবস্থায় ইন্টারনেট
থমথমে কাশ্মীর(Photo Credit: IANS)

কাশ্মীর, ১৪ অক্টোবর: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। প্রথমে পর্যটকদের উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি দিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। তারপর রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Governor Satya Pal Malik) জানালেন, পর্যটকরা কাশ্মীরে এলে তাঁরে সমস্ত ধরনের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দের দায়িত্ব নিচ্ছে বর্তমান প্রশাসন। এর ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই পোস্টপেড মোবাইলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি পোস্টপেড কানেকশন রয়েছে উপত্যকায়। এসবগুলিরই এক সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) উঠে যাওয়ার আগেভাগেই কেন্দ্র কমিউনিকেসন ব্লকেডের সিদ্ধান্ত নেয়। তারই ফলস্বরূপ উপত্যকার সমস্ত পোস্টপেড মোবাইল কানেকশনে তালা পড়েছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠলেও ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধই থাকছে।

এই প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব রোহিত কানসাল (Rohit Kansal) বলেছেন, অক্টোবরের ১৪ তারিখ অর্থাৎ আজ সোমবার বেলা বারোটা থেকে উপত্যকার সমস্ত পোস্টপেড নম্বর রিস্টোর হবে। কানেকশনও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সবমিলিয়ে কাশ্মীরের ১০টি জেলার পোস্টপেড নম্বরগুলি আজ পুনরায় চালু হয়ে যাবে। পোস্টপেড অপারেটরদের কানেকশনও আজ থেকেই স্বাভাবিক হচ্ছে। গোটা উপত্যকাতে ৬৬ লক্ষ মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন। যার মধ্যে ৪০ লক্ষ পোস্টপেড বাকিরা প্রিপেড ব্যবহার করেন। তবে এখনই প্রিপেড মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাতে অচলাবস্থা কাটছে না। এই প্রসঙ্গে উপত্যকার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের উপদেষ্টা ফারুক খান জানিয়েছেন, পোস্টপেডে অচলাবস্থা আজ দুপুর থেকে কেটে যাচ্ছে। এবার আশা করতেই পারি যে পর্যটন শিল্পে ফের জোয়ার আসবে। উপত্যকায় আগের মতোই লোকজন বাড়বে। এতদিন যে স্থানীয়রা চেয়েও স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছিলেন না, আশা করব আজকের পর থেকে তা আর থাকবে না। এমনকী কমিউনিকেশন ব্ল্যাক আউটের অজুহাত দেওয়াও বন্ধ হবে। আরও পড়ুন-পাঞ্জাব হরিয়ানার চাষিরা খড় পোড়াচ্ছেন, মারাত্মক দূষণর গেরোয় রাজধানীর লোধী রোড

বলা বাহুল্য, ৩৭০ ধারা বলবতের আগে থেকে গোটা উপত্যকায় কমিউনিকেশন ব্লকেড হলেও জম্মুতে অল্পদিনের মধ্যেই ফের ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরিয়ে আনা হয়। তবে তা ফিরতে না ফিরতেই উপত্যকার অভ্যন্তরীণ খবর বাইরে ছড়ানোর মতো ঘটনা ঘটে। প্রশাসন এই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই ফের সেই সুযোগসুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কানসালের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের ৯৯ শতাংশ এলাকায় কোনওরকম বিধিনিষেধ থাকছে না। তবে পরিস্থিতি আসলে যে কি তা সেখানকার স্থানীয়রাই ভাল বলতে পারবেন।