রামভক্ত গোপাল (Picture Credits: Reuters Tweet)

নতুন দিল্লি, ৩০ জানুয়ারি: জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী বিক্ষোভের মধ্যে চলল গুলি, পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে রয়ে গেল। পিস্তল উঁচিয়ে, গুলি চালিয়ে 'ইয়ে লো আজাদি' স্লোগানও দেয় সেই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Millia Islamia University) কাছে, রাজঘাটে প্রতিবাদে জমায়েতে আচমকা চলে গুলি (Shoot)। সামিল হয়েছিলেন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রচুর পড়ুয়ারাও। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন জামিয়ার এক ছাত্র।

এই ব্যক্তির ফেসবুক প্রোফাইলের নাম রামভক্ত গোপাল (Rambhakt Gopal)। সে গুলি ছোড়ার আগে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভও করছিল। এর আগে প্রায় গত দু, তিনদিন ধরেই ফেসবুক পোস্ট করছিলেন তিনি, সেখানে তিনি নিজের কার্যকলাপের আঁচ দিয়েছিল। গুলি করতে করতে সে বলতে থাকে 'ইয়ে লো জিন্দেগী'। সেলফি ভিডিতে দেখা যায় কালো বোম্বার জ্যাকেট পরে এদিকওদিক ভয়ের চোখে তাকাচ্ছে সে। অন্তত চার পাঁচটি এমন ভিডিও লাইভ করে। তার কার্যকলাপ দেখে মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যা করার চক্রান্ত করেছিল। ফেসবুকে সে আরও লেখে,"শাহীনবাগ খেলা শেষ","কোনও হিন্দু মিডিয়া উপস্থিত নেই দেখছি।" আরও পড়ুন, জামিয়ার প্রতিবাদী মিছিলের মাঝে চলল গুলি, দর্শক পুলিশ

এইধরণের পোস্ট সন্দেহ বাড়িয়েছে যথেষ্ট। জামিয়ার এক ছাত্রী জানিয়েছে,"আমরা ব্যারিকেডের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ সে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে। তারপর গুলি চালাতে শুরু করে, প্রতিবাদের শান্তিভঙ্গ হয়। আমরা তাকে আটকাই, শান্ত করার চেষ্টা করি। পুলিশ সেখানে দাঁড়িয়েছিল। কিচ্ছু করেনি। আমরা যখন তাকে আটকাতে যাই ও গুলি চালায়, আমাদের এক বন্ধুর হাতে গিয়ে গুলি লাগে।"

আজ মহাত্মা গান্ধীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজঘাটের দিকে মিছিল করে যাচ্ছিলেন জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়া-সহ সাধারণ মানুষ বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা সেখানে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছিলেন। গত একমাস ধরে সিএএ জামিয়া মিলিয়ায় চলছে বিক্ষোভ। দুদিন আগে শাহীনবাগে এক জনৈক ব্যক্তি এসে বন্দুক দেখিয়ে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।