German Student From IIT Madras: সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়াই কাল হল, আইআইটি মাদ্রাজের জার্মান ছাত্রকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
চেন্নাইতে সিএএ বিরোধী মিছিলে জার্মান ছাত্র জ্যাকব লিন্ডেনথাল (Photo Credit: Facebook)

চেন্নাই, ২৪ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দেশের পরিস্থিতি চরমে। যেকোনও সময় যে কোনও জায়গায় এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। বিক্ষোভ সমাবেশ থাকলেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে দিচ্ছে পুলিশ। মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ থামাতে যেকোনও রকম পদক্ষেপ নিতে তৈরি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। একারণেই আইআইটি-মাদ্রাজে পড়তে আসা জার্মান ছাত্রকে (German Student) অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল চেন্নাইয়ে অভিবাসন বিভাগ। ওই ছাত্রের নাম জ্যাকব লিন্ডেনথাল (Jakob Lindenthal)। তিনি পদার্থবিদ্যার প্রথম বর্ষের ছাত্র। এক বছরের ছাত্র বিনিময় প্রোগ্রামেই তিনি আইআইটি মাদ্রাজে (IIT Madras) পড়তে এসেছেন। কয়েকদিন আগে তাঁকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিলের (Anti-CAA Protests) পুরোভাগে দেখা গিয়েছে।

এই যে ছাত্র বিক্ষোভের মিছিলের প্রথম সারিতে বার বার নজরে এসেছেন জ্যাকব, তাই তাঁকে ভারত ছাড়তে হবে। অভিবাসন বিভাগের দাবি, এভাবে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে তিনি ছাত্র ভিসার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছেন। বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গেও তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অভিবাসন দপ্তর প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। তড়িঘড়ি ছাত্রটিকে ডেকে পাঠানো হয়। বলা হয়, আবাসিকের অনুমতি পত্রের জন্যই তাঁকে একবার অভিবাসন দপ্তরে আসতে হবে। জ্যাকব লিন্ডেনথাল সেখানে গেলে বলা হয়, তিনি সিএএ বিরেধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ছাত্র ভিসার নিয়মকানুন ভেঙেছেন। সেজন্য তাঁকে দেশ ফিরে যেতে হবে। আরও পড়ুন-Jamia Millia Islamia Student Holds Anti-CAA Placards At Her Wedding: বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হয়নি, ছাদনাতলাতেই প্ল্যাকার্ড রেখে প্রতিবাদ জামিয়ার ছাত্রীর

এরপর ওই জার্মান পড়ুয়া জানিয়েছেন, তিনি একটি স্পোর্টস টুর্নামেন্টে যোগ দিতে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। তবে অভিবাসন দপ্তরের ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি চেন্নাইতে ফিরে আসেন। জানা যায়, সেখানেই একটি সিএএ বিরোধী মিছিলে তাঁর হাতে জার্মানির হিটলারের শাসনকাল সম্পর্কিত পোস্টার ছিল। যাতে লেখা ছিল, ১৯৩৩-৪৫ আমরা সবাই সেখানে ছিলাম, যা নাৎসি শাসনকালকেই চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাঁর কোর্স কো-অর্ডিনেটরই অভিবাসন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কেননা তিনি নাকি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নিয়ম ভেঙেছেন। এদিকে ভারত ছাড়ার কারণ হিসেবে লিখিত প্রমাণ চেয়েছেন ওই ছাত্র। তবে এখনওপর্যন্ত তেমন কিছুই জ্যাকবকে দেয়নি অভিবাসন দপ্তর। তিনি বলেন, ‘ডিন অফিস থেকে ফোন করা মাত্রই ঠিক করে পেলি আমাকে যেতে হবে। কেননা এখন ক্রিসমাস ইভ চলছে। তবে ভারতকে ভালবেসে ফেলেছি। আগামী জুনমাস পর্যন্ত আমার এদেশে থাকার ভিসা রয়েছে। আর আইআিটি মাদ্রাজ ক্যাম্পাসকেও দারুণ পছ্ন্দ।’