Cyclone Montha Forming (Photo Credit: ANI/X)

ঘূর্ণিঝড় মনথা (Cyclone Montha) অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি এখন বিশাখাপত্তনম থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিমে এবং গোপালপুর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। ক্রমশ উত্তর-উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে আজ রাতের মধ্যে অন্ধ্র উপকূলের মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনম এর মধ্যে কাকিনারার কাছ থেকে স্থলভাগ অতিক্রম করবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। এই সময় এর গতিবেগ ঘন্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার এবং কোথাও কোথাও ১১০ কিলোমিটার হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।  শ্রী নাইডু ঘূর্নিঝড়ের যাবতীয় প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। নদী-তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যেসমস্ত জেলায় বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা সেখানে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ দল প্রস্তুত রয়েছে।  দক্ষিণ মধ্য এবং ইস্ট কোস্ট রেল ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস আজকের বেশ কয়েকটি পরিষেবা  বাতিল করেছে।

ওড়িশাতেও রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি আজ ভুবনেশ্বরে দুর্যোগ মোকাবিলায় পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আজ একটি জরুরী বৈঠক ডেকেছেন। গজপতি গঞ্জা কোরাপুট এবং মালকানগিরি জেলার নীচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  দক্ষিণ এবং উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে গতকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর দক্ষিণের আটটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। এই জেলাগুলির স্কুল এবং আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আজ থেকে তিনদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রেলের তরফে ৪৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে।