ব্ল্যাকহোলের চৌম্বকক্ষেত্র (Photo Credits: IANS)

নিউইয়র্ক, ২৬ মার্চ: এই প্রথম লেন্সবন্দি হল ব্ল্যাক হোলের চার পাশের চৌম্বক ক্ষেত্র (Magnetic Fields)। দু’বছর আগে অসাধ্যসাধন করেছিল ইএইচটি। পৃথিবী থেকে সাড়ে ৫ কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা একটি বিশাল নক্ষত্রপুঞ্জ ‘এম-৮৭’-এর অন্দরে রয়েছে দৈত্যাকার ‘সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল’ (নাম-এম-৮৭) তার ছবি তোলা হয়েছিল দু’বছর আগে। ২০১৯-এ। ইভেন্ট হরাইজ্‌ন টেলিস্কোপ (ইএইচটি)-এর মাধ্যমে। এবার এই এম-৮৭ সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের চার পাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রায় পূর্ণাঙ্গ ছবি তুলে অসাধ্য সাধন করল ইএইচটি। যা থেকে প্রথম চাক্ষুষ করা গেল ব্ল্যাক হোলের চার পাশের চৌম্বক ক্ষেত্রটিকে। তার সজ্জাও। পাওয়া গেল সেই চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক-দিশাও। ব্ল্যাকহোলের চারপাশের এই চৌম্বক ক্ষেত্রের শক্তি মাঝারি মানের। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: নন্দীগ্রামে শেষবেলার প্রচারে মমতার বিরুদ্ধে মিঠুন, তৎপরতা তুঙ্গে

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোনও সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের ব্যাসার্দ্ধ যতটা, তার ৫-৬ গুণ দূরত্বে থাকে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র। যার আড়াই-তিন গুণ কম দূরত্বে ব্ল্যাক হোলের কাছাকাছি থাকে সেই ভয়ঙ্কর এলাকা ‘ইভেন্ট হরাইজন’। যে এলাকার সীমান্ত ছুঁলেই কোনও পদার্থ, এমনকি আলোর কণা ফোটনও আর ব্ল্যাক হোলের জোরালো অভিকর্ষ বলের টান এড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে, ইভেন্ট হরাইজ্‌ন থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্ল্যাক হোলের অতলান্ত অন্ধকারের সাম্রাজ্য। যে সাম্রাজ্যে অস্তিত্বই নেই আলোর।

উল্লেখ্য, ব্ল্যাক হোলের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে গ্যাসের ঘন মেঘ, তারা, পদার্থ কাছেপিঠে এসে পড়লে তাদের তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তারা আর অণু, পরমাণু হয়ে থাকতে পারে না। ইলেকট্রন খুইয়ে তারা আয়ন হয়ে পড়ে। ভেঙে পড়ে রাশি রাশি ইলেকট্রন, প্রোটনের মতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণায়। তাদের গতিবেগ থাকে বলে তাদের চলার পথে তৈরি হয় বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র। যার পরিণতিতে তৈরি হয় চৌম্বক ক্ষেত্রও। এহেন যুগান্তকারী ঘটনা ব্ল্যাকহোলের রহস্য ভেদে মানবজাতিকে আরও কয়েকটি ধাপ এগিয়ে দিল।