মুম্বই, ১৬ ডিসেম্বর: শীনা বরা (Sheena Bora) এখনও জীবিত। তিনি কাশ্মীরে রয়েছেন। কাশ্মীর পুলিশের তরফে যাতে শীনা বরার খোঁজ করা হয়, সে বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে আবেদন জানালেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। সূত্রের তরফে মিলছে এমন খবর। ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, সম্প্রতি জেলে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তিনিই ইন্দ্রাণীকে জানান, শীনাকে দেখেছেন কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir)। ফলে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের তরফে যাতে শীনা বোরার খোঁজ করা হয়, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের কাছে আবেদন জানান ইন্দ্রাণী। যে খবর প্রাকশ্যে আসতেই ৯ বছর আগের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফের সংবাদমাধ্যম সরগরম হতে শুরু করেছে।
২০১৫ সালে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে (Indrani Mukerjea) গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় অভিযোগ ওঠে, ইন্দ্রাণী তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ে শীনা বরাকে হত্যা করেছেন। ২৫ বছরের শীনাকে হত্যার অভিযোগেই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইন্দ্রাণীর গ্রেফতারির ৩ মাসের মাসের তাঁর তৎকালীন স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শীনাকে হত্যার সময় ইন্দ্রাণীকে সাহায্য করেছেন পিটার। এই অভিযোগেই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্য়ায়ের স্বামীকেও গ্রেফতার করা হয়।
২০১৫ সালে শীনা বরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, গাড়ি চালক শ্যাম রাই এবং ইন্দ্রাণীর দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে সঞ্জীব খান্নার সাহায্যেই শীনাকে হত্যা করেন তাঁর মা। পিটার মুখোপাধ্যায়ের ছেলে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান শীনা। শীনা এবং রাহুলের গোপণ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি ইন্দ্রাণী। শুধু তাই নয়, ইন্দ্রাণী যে আর্থিক নয়ছয় করছেন, তা সবার সামনে আনবেন বলে নাকি ইন্দ্রাণীকে হুমকি দেন শীনা। এরপরই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়র শীনা বরাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
শীনাকে হত্যার পর ইন্দ্রাণী জানান, তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ে আমেরিকায় (US) রয়েছেন। ওই ঘটনার পর মুম্বইয়ের কাছে একটি জঙ্গল থেকে শীনা বোরার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার পর ইন্দ্রাণীর চালক শ্যাম রাইকে গ্রেফতার করা হয়। ইন্দ্রাণীকেও গ্রেফতার করে তদন্তকারী দল প্রায় ৬০ জনের বয়ান নথিভুক্ত করে ওই মামলায়।