Sonam-Raja Raghuwanshi (Photo Credit: X/Screengrab)

দিল্লি, ৯ জুন: প্রেমিকের জন্যই রাজা রঘুবংশীকে মেরে দিল সোনম? প্রেমিক রাজ কুশওয়ার সঙ্গে থাকতেই সদ্য বিবাহিত স্বামী রাজা রঘুবংশীর খুনে হাত রক্তাক্ত করল ইন্দোরের (Indore Couple Missing) সোনম রঘুবংশী? ইন্দোরের দম্পতি নিখোঁজের ঘটনায় এমন সব তথ্যই এবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। যেখানে বিয়ের পর স্বামী রাজা রঘুবংশীর (Raja Raghuwanshi) সঙ্গে ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে গিয়ে তাঁকে খুন করে সোনম রঘুবংশী (Sonam RaghuwSonakanshi)। মেঘালয় পুলিশের দাবি, রাজা রঘুবংশীকে খুনের গোটা পরিকল্পনা সোনম এবং রাজ কুশাওয়ার। ইন্দোরের ওই তরুণীই বিয়ের পর মেঘালয়ের টিকিট কেটে রাজাকে সেখানে নিয়ে যায়। এমন তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। সোনমের গ্রেফতারির পর যা নিয়ে পুলিশ জোর কদমে তদন্ত এবং তল্লাশি শুরু করেছে।

মেঘালয়ের পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ  (Meghalaya police) সুপার বলেন, সোনম রঘুবংশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ কুশওয়া নামের এক যুবককে। রাজ কুশাওয়ার (Raj Kushwaha) ৩ সঙ্গীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। ফলে তদন্তের গতি প্রকৃতি ক্রমাগত অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: Raja Raghuwanshi: ভাড়াটে খুনি, পরকিয়ার জের? 'জ্ব্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হোক সোনমকে', দাবি রাজা রঘুবংশীর মায়ের

পুলিশ সূত্রে খবর, রাজা রঘুবংশীর খুনের ঘটনায় আকাশ রাজপুত নামে ১৯ বছরের এক কিশোরকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। বিশাল সিং চৌহান নামে বছর ২২ এর এক যুবককেও পুলিশ ধরেছে। আর সেই সঙ্গে পাকড়াও করা হয়েছে ২১ বছরের রাজ কুশাওয়াকে। এই রাজ কুশওয়ার সঙ্গেই সোনমের সম্পর্ক এবং তার জেরেই রাজা রঘুবংশীকে খুন হতে হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। এই ৩ জনের পাশাপাশি আনন্দ কর্মী নামে আরও একজনকে মধ্যপ্রদেশের সাগর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানা যায়।

রবিবার উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরের একটি ধাবা থেকে পুলিশ সোনম রঘুবংশীকে গ্রেফতার করে। গাজ়িপুরের ওই ধাবায় বসে সোনম কাঁদতে শুরু করে বলে জানায় সেখানকার মালিক সাহিল যাদব। এরপর সাহিল স্থানীয় থানায় খবর দিলে, পুলিশ গিয়ে সোনম রঘুবংশীকে হেফাজতে নেয় বলে জানা যায়।

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, রাজা রঘুবংশীকে খুনের চক্রান্ত করে এই রাজ কুশাওয়া, সোনমের কথায়। রাজ কুশওয়ার বুদ্ধিতেই রাজাকে মেরে মেঘালয়ের পাহাড়ের গর্তে ফেলে দেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে।