ভারতে করোনা (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: ২৪ হাজার ১০ জন নতুন করোনা আক্রান্তের (Coronavirus Cases In India) সঙ্গে সঙ্গে ভারতে কোভিড রোগীর সংখ্যা পৌঁছালো ৯৯.৫৬ লাখে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নিচেই রয়েছে, যা মহামারী বিধ্বস্ত সময়ে অত্যন্ত ইতিবাচক। একই সঙ্গে কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। এই মুহূর্তে ভারতে অ্যাকটিভ কেসের হার নেমেছে পাঁচ শতাংশের নিচে। দিল্লিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ শুরু হওয়ায় জাতীয় স্তরে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা সম্প্রতি হু হু করে বাড়লেও বর্তমানে তা ৩.৩৪ শতাংশে স্থির রয়েছে। ভারতে করোনাকে হারিয়ে সুস্থতার হার ৯৪.৭৪ শতাংশ। অন্যদিকে মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। বুধবার আইসিএমআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ৪৬ হাজার ২৮০ জনের কোভিড টেস্ট হয়েছে। শুধু মঙ্গলবারই ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৬২৫ জনের নমুনা করোনা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়।

এদিকে উত্তরপ্রদেশে কারা প্রথম পর্যায়ে করোনার প্রতিষেধক পাবেন তা ঠিক হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। চিকিৎসক, বেসরকারি  ও সরকারি হাসপাতালের প্যারামেডিকরা সর্বপ্রথমে করোনার টিকাকরণের আওতায় আসবেন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছেন পুরসভার কর্মীরা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তৃতীয় পর্যায়ের করোনার প্রতিষেদখ পাবেন রাজ্যের ৫০-এর বেশি বয়সি নাগরিকরা। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার। মূলত ডিপ ফ্রিজারের ঠান্ডা বক্সে থাকবে করোনার প্রতিষেধক। প্রথম পর্যায়ে যাঁরা টিকাকরণের কাজটি করবেন তাঁদের প্রশিক্ষণও সম্পূর্ণ হয়েছে। আরও পড়ুন-Rajasthan: রাজস্থানে পথচারীর উপরে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান পিলার, দেখুন ভিডিও

উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যে ১.২৩ লাখ লিটার করোনা ভ্যাকসিন স্টোরেজের বন্দোবস্ত করেছে। ২২টি জেলায় করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের বন্দোবস্ত হয়েছে। রাজ্যের ৫ লাখ স্বাস্থকর্মীর তথ্য ইতিমধ্যে নথিভুক্ত হয়েছে। আইসিএমআর জানিয়েছে গতকাল ১৬ ডিসেম্বর দেশে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬০টি নমুনার করোনা টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে সবমিলিয়ে মোট ১৫ কোটি, ৭৮ লাখ ৫ হাজার ২৪০টি নমুনার কোভিড টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে দিল্লিতে করোনা টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শুরু করল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। বাজারে টিকা চলে আসার পর যে স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণ মানুষকে টিকা দেবেন তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তালিকায় রয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্বাস্থ্যকর্মী।