নতুন দিল্লি, ২৮ আগস্ট: বৃহস্পতিবার সারাদিনে ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত (Coronavirus Cases In India) হলেন ৭৭ হাজার ২৬৬ জন। সঙ্গে সঙ্গেই দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংক্যা ৩৩.৮৭ লাখ ছাড়িয়ে গেল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০১ জন। গতকাল সারাদিনে নতুন করে করোনার বলি ১ হাজার ৬৭ জন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনার মৃত্যু মিছিলে শামিল ৬১ হাজার ৫২৯ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে এই মুহূর্তে সংক্রামিত ৭ লাখ ৪২ হাজার ২৩ জন। এখনও পর্যন্ত করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন। আরও পড়ুন-Airlines: মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যেই আকাশপথে মিলবে বিমান সংস্থার খাবার, অনুমতি কেন্দ্রের
সুস্থদের মধ্যে একজনকে তাঁর দেশে পাঠানো হয়েছে। দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থতার হার ৭৬. ২৪ শতাংশ। আইসিএমআর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫১০টি নুমনার করোনাভাইরাস টেস্ট হয়েছে। ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৮৩ শতাংশের নিচে নেমেছে। আমেরিকা ব্রাজিল, মেক্সিকোর পর করোনায় মৃতের সংখ্যার তালিকায় বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। দেশে যে প্রতিদিনে ৭০ হাজারের উপরে নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলছে, তার আজ দ্বিতীয় দিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল রয়েছে করোনাআক্রান্তের তালিকার শীর্ষে। এরপরেই ভারত, তবে গত কয়েকদিনে ভারতে প্রতিদিন যে হারে নতুন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তার মার্কিন মুলুক ও ব্রাজিলকে প্রতিযোগিতায় পিছনে ফেলে দিয়েছে।
ভারতে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০১ জন
India's #COVID19 case tally at 33.87 lakh with a record spike of 77,266 fresh cases, & 1,057 deaths in the last 24 hours.
COVID-19 case tally in the country stands at 33,87,501 including 7,42,023 active cases, 25,83,948 cured/discharged/migrated & 61,529 deaths: Health Ministry pic.twitter.com/uANJwfrbey
— ANI (@ANI) August 28, 2020
মহামারী করোনাভাইরাসে দেশের সবথেকে বিপর্যস্ত রাজ্যটি মহারাষ্ট্র। একেবারে করোনাকালের শুরু থেকেই ভাইরাসে জর্জরিত হয়ে রয়েছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের এই রাজ্য। সেখানে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৮। এখনও পর্যন্ত সেখানে করোনার মৃত্যু মিছিলে শামিল ২৩ হাজার ৪৪৪ জন। রাজ্যের সুস্থতার হার ৭২.৬৯ শতাংশ থেকে নেমে ৭২.৪৬ শতাংশ হয়েছে। যেখানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃত্যুর হার ৩.২ শতাংশে স্থির রয়েছে।