নতুন দিল্লি, ৬ এপ্রিল: আগামী দুটো তিনটে মাস ধরে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) মোকাবিলা করতে গেলে ভারতের চাই ২৭ মিলিয়ন এন-৯৫ মাস্ক, ১৫মিলিয়ন পিপিই, ১.৬ মিলিয়ন করোনার টেস্ট কিট ও ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক খবর অন্তত এই তথ্যই জানাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়েই কেন্দ্রের তরফে শিল্পপতিদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। এই সবের জোগাড়যন্ত্র করতে বেসরকারি সংস্থা, এনজিও ও আন্তার্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সরারি কর্তাব্যক্তিদের আলোচনা চালাতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। মহামারী করোনার ঘায়ে যখন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে গেল। ৮৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভাইরাসের প্রতিরোধে এবার কোমরবেঁধে আসরে নামল কেন্দ্র।
গত ৩ এপ্রিল এনিয়ে উদ্যোগপতিদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন নীতিআয়োগের প্রধান অমিতাব কান্ত। এই বৈঠকের পরেই সরকারি কর্তাদের তরফে করোনা মোকাবিলায় জরুরি ফর্দ তৈরি। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে গেল। রবিবার সকাল ৯ টায় বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, তখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণে দেশে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৯। অর্থাৎ গত চব্বিশ ঘন্টায় আরও ৩২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে এর আগে কোভিডে এতো মৃত্যু হয়নি দেশে। আরও পড়ুন- Big B Falls For It Again: ভারতে দীপবলি, নাসার ভুয়ো ছবি শেয়ার করে ফের বিড়ম্বনায় অমিতাভ বচ্চন
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে বেড়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় ৬৯৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তথা কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৭৭ জন। এখন ৩৬৬৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস অ্যাকটিভ রয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ২৯১ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনে রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার বুলেটিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল বাংলায় এখনও পর্যন্ত ৮০ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছে। ইতিবাচক হল সোমবার সকালের বুলেটিনে সেই সংখ্যা আর বাড়েনি। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি এখন মহারাষ্ট্রে। মারাঠা মুলুকে এখনও পর্যন্ত ৬৯০ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের।