Vivo (Photo Credit: Pixahive and Pixabay)

নয়া দিল্লি: এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভিভোকে (Vivo) প্রায় ২৭ হাজার স্মার্টফোন রপ্তানি করতে বাধা দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এর ফলে ভারত থেকে পার্শ্ববর্তী বাজারে ফোন রফতানির চীনা কোম্পানির পরিকল্পনা ধাক্কা খেল । ভিভো কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (Vivo Communication Technology) তৈরি এই স্মার্টফোনগুলি নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে(New Delhi Airport) আটকে রেখেছে ভারতের রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ(revenue intelligence unit)। ভিভো তাদের প্রথম ব্যাচের ভারতে তৈরি স্মার্টফোন নভেম্বরের শুরুতে সৌদি আরব ও থাইল্যান্ডের মতো বাজারে রপ্তানি করে। এর কারণ হিসেবে অর্থ মন্ত্রকের (Finance Ministry) একটি শাখা তথা বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ডিভাইসের মডেল এবং তার মূল্য সম্পর্কে ভুল ঘোষণার অভিয়োগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সাম্প্রতিকতম ত্রুটিটি ভিভোর ভবিষ্যৎকে স্মার্টফোন বাজারে মেঘাচ্ছন্ন করে দিতে পারে, যেখানে সংস্থাটি ইতিমধ্যে অর্থ পাচারের অভিয়োগে তদন্তাধীন, যা এখনও আদালতে প্রমাণিত হয়নি সুত্রানুসারে এই পণ্যের মূল্য প্রায় 15 মিলিয়ন ডলার। যদিও অর্থমন্ত্রক এবং ভিভো ইন্ডিয়া এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। Airtel World Pass: এবার এয়ারটেলের ডেটা রোমিং প্যাক রিচার্জে 184টি দেশে ভ্রমণ করুন, জেনে নিন খরচ

বিমানবন্দরে ভিভোর চালান আটকে দেওয়ায় ভারতের অন্যান্য চীনা স্মার্টফোন নির্মাতারা বিপাকে পড়তে পারেন, কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জাতীয়তাবাদী সরকার তাদের স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরিতে বেশি জোর দিচ্ছে। শুধুমাত্র তাই নয়, নয়াদিল্লিতে এসএআইসি মোটর কর্প লিমিটেডের (SAIC Motor Corp Ltd) এমজি মোটর ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড (MG Motor India Pvt Ltd) এবং শাওমি কর্পোরেশন (Xiaomi Corp.) এবং জেডটিই কর্পোরেশনের(ZTE Corp) স্থানীয় ইউনিটগুলি সহ ভারতে কাজ করা চিনা সংস্থাগুলিরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা জোরদার করেছে। যা ২০২৬ সালের মার্চের শেষ নাগাদ ১২ হাজার কোটি ডলারের ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানির ভারতের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যকে সমস্যার মুখে ফেলতে পারে। সাম্প্রতিক ভারত ও চিনের রাজনৈতিক সম্পর্ক যার সুত্রপাত হয় ২০২০ সালের গ্রীষ্মে হিমালয়ের একটি বিতর্কিত সীমান্তে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সঙ্ঘর্ষের ফলে।